ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন মোদি

প্রকাশিত: ২০:৩০, ৯ এপ্রিল ২০২১

টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলেন মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিল্লীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এআইআইএমএস) তিনি টিকার এ ডোজটি নিয়েছেন বলে ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। খবর দ্য হিন্দু, হিন্দুস্তান টাইমস, এনডিটিভি, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও ইন্ডিয়া টুডের। গত ১ মার্চ টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার ৩৭ দিন পর তিনি দ্বিতীয় ডোজ নিলেন। টুইটারে নিজের দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার একটি ছবি পোস্ট করে টিকা নেয়ার যোগ্য সবাইকে দ্রুত তা নিয়ে নেয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি। ১ মার্চ ভারতে টিকাদান কর্মসূচীর দ্বিতীয় পর্বে প্রথম টিকা নেয়া ব্যক্তি ছিলেন মোদি। ওই পর্বে দেশটির ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী ও ৪৫ বছর বা তার বেশি বয়সী গুরুতর অসুস্থদের টিকা নেয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করা হয়েছিল। মোদি ভারত বায়োটেক ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) তৈরি করোনাভাইরাস টিকা ‘কোভ্যাকসিন’ নিয়েছেন। টুইটে মোদি বলেন, আজ এআইআইএমএসে কোভিড-১৯ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিলাম। ভাইরাসকে হারানোর যে অল্প কয়েকটি উপায় আমাদের আছে তার মধ্যে টিকা অন্যতম। আপনি টিকা নেয়ার যোগ্য হলে দ্রুত নিয়ে নিন। ভারতে টিকা নেয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করার পোর্টাল কোউয়িন ওয়েবসাইটে এই টুইটের লিঙ্ক শেয়ার করেছেন মোদি। টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার সময় মোদির মুখে মাস্ক না থাকলেও এবার ছিল। প্রথমবার মাস্ক না পরে টিকা নেয়ায় তার ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে ভারতে করোনা টিকা দেয়ার কর্মসূচী শুরু হয়। প্রথম পর্বে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা ও অন্য সামনের সারির কর্মীরা টিকা নেয়ার সুযোগ পান। ভারতের টিকা কর্মসূচীতে কোভ্যাকসিনের পাশাপাশি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি এ্যাস্ট্রাজেনেকার অংশীদারিত্বে উদ্ভাবিত ও পুনেভিত্তিক সেরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত কোভিশিল্ডও ব্যবহার করা হচ্ছে। এদিন মোদিকে ভ্যাকসিনের ডোজ দিয়েছেন নার্স নিশা শর্মা। তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টিকা দিয়েছি। তিনি আমাদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আমার কাছে এটি একটি স্মরণীয় মুহূর্ত। উল্লেখ্য, ভারতে এখন পর্যন্ত ৯ কোটিরও বেশি করোনা টিকার ডোজ দেয়া হয়েছে। বিগত কয়েক সপ্তাহে দেশটিতে সংক্রমণের গ্রাফ উর্ধমুখী। এরই মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে টিকাদান কর্মসূচী পরিচালনা করা হচ্ছে। ১ এপ্রিল থেকে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রমের তৃতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। এই পর্বে ৪৫ বছর বয়সের বেশি ব্যক্তিদের করোনা টিকার ডোজ দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে।
×