ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আর্ট ক্যাম্প ‘স্প্রিং অব ফ্রিডম’

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ৮ এপ্রিল ২০২১

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আর্ট ক্যাম্প ‘স্প্রিং অব ফ্রিডম’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ইতিহাসের পথরেখায় বাংলাদেশ পূর্ণ করেছে স্বাধীনতার ৫০ বছর। বাঙালীর বীরত্বগাথার কথা বলা এই অর্জনকে ঘিরে রঙিন হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। জাতীয়ভাবে ঐতিহাসিক দিবসটির উদ্যাপনের পাশাপাশি বেসরকারীভাবেও ছিল নানা আয়োজন-আনুষ্ঠানিকতা। নৃত্যের ছন্দে, গানের সুরে কিংবা কবিতার শিল্পিত উচ্চারণে বর্ণিল হয়েছিল সেসব অনুষ্ঠান। সেই উদ্যোগে শামিল হয়েছিল রাজধানীর মালিবাগের গ্যালারি কসমস। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আট শিল্পীকে নিয়ে প্রদর্শনালয়টি আয়োজন করে ‘৫০ স্প্রিং অব ফ্রিডম’ বা ‘স্বাধীনতার ৫০ বসন্ত’। চার দিনব্যাপী চিত্রশিবিটির আয়োজন করা হয় বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ফিনলে হলে। বসন্তের মনোরম পরিবেশে রং-তুলির আঁচড়ে ক্যানভাসে শিল্পীরা মেলে ধরেন প্রকৃতি এবং জীবনের অবিচ্ছিন্ন সম্পর্ককে। মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত এই আর্ট ক্যাম্পে অংশ নেন নবীন থেকে প্রবীণ চিত্রশিল্পীরা। এই শিল্পীদলে ছিলেন শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী, কনক চাঁপা চাকমা, আনিসুজ্জামান আনিস, অনুকূল চন্দ্র মজুমদার, আজমীর হোসেন, বিশ্বজিৎ গোস্বামী, আবদুল্লাহ আল বশির এবং মং মং শো। আয়োজনটি প্রসঙ্গে গ্যালারি কসমস এবং কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুল্লাহ খান বলেন, স্বাধীনতার এই গৌরবময় সুবর্ণজয়ন্তী অর্জনের জন্য বাংলাদেশকে লম্বা পথ পাড়ি দিতে হয়েছে। আজ আমাদের এই দেশ পৃথিবীর বুকে যেন এক টুকরো ভূ-স্বর্গে পরিণত হয়েছে। এই দেশে রয়েছেন বিশ্বমানের সব প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী। আর সেসব গুণী শিল্পীর সৃষ্টিশীল কর্মযজ্ঞ নিয়েই উদ্যাপিত হয়েছে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ। আর্ট ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারী চিত্রশিল্পী এবং শিক্ষক বিশ্বজিৎ গোস্বামী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সাতই মার্চের ভাষণ যেমন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব অর্জনের লড়াইয়ে আমাদের একতাবদ্ধ এবং উজ্জীবিত করেছিল, তেমনি একইসঙ্গে প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যেরও এক প্রকার অন্তর্নিহিত শক্তি রয়েছে আমাদের একীভূত করার। এই কর্মশালাটির প্রধান উদ্দেশ্য ঋতুরাজ বসন্তকে সঙ্গী করে একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে স্মরণীয় করে রাখা। সেই সুবাদে প্রকৃতির মাঝে নিজেদের শিল্পসত্ত্বাকে নতুন করে আবিষ্কার করার সুযোগ এনে দেয় এই কর্মশালাটি।
×