ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দেড় শ’ যাত্রীর সঙ্গে ফিরলেন করোনা পজিটিভ ব্যক্তিও

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ৮ এপ্রিল ২০২১

দেড় শ’ যাত্রীর সঙ্গে ফিরলেন করোনা পজিটিভ ব্যক্তিও

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিদেশ থেকে দেশে ফেরার প্রথম শর্ত হচ্ছে- করোনার নেগেটিভ সনদ থাকা। এ শর্ত মেনেই প্রতিদিন বিমানবন্দর দিয়ে হাজার হাজার প্রবাসী দেশে ফিরছেন। কিন্তু এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে দেশে ফিরেছেন এক যাত্রী। গত মঙ্গলবাার ওমানের মাস্কাট থেকে আসা ওই যাত্রী কোভিড-১৯ পজিটিভ সনদ নিয়েই বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেছেন। তিনি সালাম এয়ারের ওভি-৩৯৭ ফ্লাইটে করে দেশে আসেন। ওই ফ্লাইটে তার সঙ্গে আরও প্রায় ১৫০ যাত্রী ছিলেন। কোভিড-১৯ পজিটিভ সনদ নিয়ে ঘুরেছেন মাস্কাটের বিমানবন্দর, চেক-ইন, ইমিগ্রেশনসহ সংবেদনশীল সব জায়গায়। বাংলাদেশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ডেস্কের দীর্ঘ লাইনে। ৩০ মিনিট লাইনে দাঁড়ানোর পর হেলথ ডেস্কের কর্মকর্তা দেখলেন তিনি করোনা আক্রান্ত। রিপোর্টও তাই বলছে। ডেস্কে করোনা আক্রান্ত হওয়ার সরল স্বীকারোক্তিও দেন ওই যাত্রী। অতঃপর গেলেন হাসপাতালে। মাস্কাটের ফ্লাইটটি সকাল ৮টা ৩৫ মিনিটে শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে স্পর্শ করে। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে আসার পর ওই মধ্যবয়স্ক যাত্রীকে কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ ডেস্কের এক ডিউটি অফিসার বলেন-পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেটি শনাক্ত করা হয়। কেন যাত্রী এমনটি করলেন এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। জানতে চাইলে বিমানবন্দরের ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ জামিল বলেন-ওমানে যাত্রীদের অনেক যাচাই-বাছাই করে প্লেনে চড়তে দেয়া হয়। এরপরও করোনা রোগী হয়ে তিনি বাংলাদেশে এলেন। এতে সালাম এয়ারের কর্মকর্তাদের গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলা রয়েছে। এ কারণে এয়ারলাইন্সটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ওই ফ্লাইটের সব যাত্রীকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। বিমানবন্দরের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, আগতদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও করোনা টেস্টের কাগজগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যারা আসছেন তাদের নিজ খরচে সরকার নির্ধারিত হোটেলে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়াও যারা একটু কম সচ্ছল তাদের হজক্যাম্পে সরকারী খরচে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেখানে যাত্রীকে নিজের খাবারের খরচটা বহন করতে হবে।
×