ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জাবিতে সংরক্ষিত বনভূমিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

প্রকাশিত: ১৯:৩৫, ৭ এপ্রিল ২০২১

জাবিতে সংরক্ষিত বনভূমিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

জাবি সংবাদদাতা ॥ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববৈচিত্র্যের জন্য সংরক্ষিত প্রায় ১৫ একর বনভূমিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার বেলা ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ও মীর মশাররফ হোসেন হলের মধ্যকার সংরক্ষিত বনভূমিতে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে ব্যাপক পরিমাণে ছোট কীট-পতঙ্গ মারা পড়ে বৃক্ষের ক্ষতি হয়ে হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র্য। দুপুর ২টার দিকে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আধা ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা আগুন নেভাতে সহায়তা করে। তবে আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা দুপুর ১টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। আগুনের ভয়াবহতা দেখে আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানাই। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনের উৎস সম্পর্কে আমরা এখনো নিশ্চিত নই। এটা কোন দুষ্কৃতিকারীদের কাজ, অথবা বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটেও আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।’ সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘আগুন লাগার বিষয়টি জানার পরে আমরা ঘটনাস্থলে এসে আধা ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এতে আমাদের দুটি ইউনিট কাজ করেছে। তবে কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, তা বলতে পারছি না।’ তবে আগুন লাগার ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারই প্রথম নয়। বিগত দুই সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, জহির রায়হান মিলনায়তন সংলগ্ন পুকুর পাড়, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও বটতলার পেছনের কিছু অংশে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। তবে সেসব আগুনের ভয়াবহতা এত বেশি ছিল না। অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝোপঝাড় পরিষ্কারের পরিবর্তে তাতে আগুন লাগিয়ে দেয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন থাকায় এই ঘটনার সঙ্গে এমন সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে প্রায়ই এমন আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়। গাছপালা ধ্বংসের পাশাপাশি ব্যাপক পরিমাণে কীট-পতঙ্গ ও নিশাচর প্রাণী আগুনে মারা যায়। আকারে ছোট হলেও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এই প্রাণীদের বড় অবদান রয়েছে।’ একাধিক কর্মচারী জানান, দুপুর ১২টার দিকে এ আগুন লাগে। পরে তারা এস্টেট অফিসকে জানান। কিন্তু এস্টেট অফিসের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
×