ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বিজিএমইএ নির্বাচনে তরুণদের জয়জয়কার

প্রকাশিত: ২১:৪২, ৬ এপ্রিল ২০২১

বিজিএমইএ নির্বাচনে তরুণদের জয়জয়কার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ করোনা সংক্রমণের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৩ সালের পর প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে তারুণ্যের জয়জয়কার হয়েছে। ‘সম্মিলিত পরিষদ’ ও ‘ফোরাম’ দুই প্যানেলে পরিচালক পদে মোট চার জন জয়ী হয়েছেন। তরুণ বিজয়ী গার্মেন্টস মালিকরা হলেন- বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদীর মেয়ে শেহরিন সালাম ঐশী, সাবেক সভাপতি কুতুবউদ্দিনের ছেলে তানভীর আহমেদ, সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে ইমরানুর রহমান এবং বর্তমান সভাপতি ড. রুবানা হক ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনিসুল হকের ছেলে নাভিদুল হক। এই চার জনের মধ্যে তিনজন ‘সম্মিলিত পরিষদ’ এবং একজন ‘ফোরাম’ থেকে নির্বাচিত হন। ফোরাম থেকে নির্বাচিত হন এমজি নিট ফ্লেয়ারের পরিচালক নাভিদুল হক। সম্মিলিত পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন- এনভয় ডিজাইনের পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী, এনভয় ফ্যাশনের পরিচালক তানভীর আহমেদ ও লায়লা স্টাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ইমানুর রহমান। পরিচালক নাভিদুল হক বলেন, আমার পক্ষ থেকে পর্ষদকে সহযোগিতা করে যাব। বাবা-মার সুনামের ফলে আমাকে সদস্যরা নির্বাচিত করেছেন। আমি তাদের সুনাম নষ্ট হতে দেবো না। অসম্মান হউক এমন কোনো কাজও করব না। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ। তৈরিপোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে সম্মিলিত পরিষদ থেকে ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছেন। ফলে ফারুক হাসান বিজিএমইএ’র পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। আর এ বি এম সামসুদ্দিন ও ড. রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন ফোরাম থেকে ১১ জন পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন। গত রবিবার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত রাজধানীর হোটেল রেডিসনে বিজিএমইএ’র ৩ পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৩৫ পরিচালক পদের মধ্যে ফারুক হাসানের প্যানেল থেকে ২৪টি পদে বিজয়ী হয়েছে। ফলে ফারুক হাসান বিজিএমইএ’র পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন। এই নির্বাচনে ড. রুবানা হকের নেতৃত্বাধীন ফোরাম থেকে ১১ জন পরিচালক পদে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে ঢাকায় এক হাজার ৮৫৩ জন ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ৬০৪ জন। অন্যদিকে চট্টগ্রাম নির্বাচন কেন্দ্রে ৪৬১ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৯২ জন। ঢাকা ও চট্টগ্রামে মোট এক হাজার ৯৯৬ জন ভোট দিয়েছেন। নির্বাচনে ৮৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি এক হাজার ২০৪ ভোট পেয়েছেন ফারুক হাসান। দ্বিতীয় হয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক। তিনি পেয়েছেন এক হাজার ১৫৭ ভোট। রুবানা হকের পাশাপাশি তার ছেলে নাভিদুল হক বিজয়ী হয়েছেন। যা বিজিএমইএ’র ইতিহাসে মা-ছেলের বিজয়ের প্রথম ঘটনা। সম্মিলিত পরিষদের বিজয়ীদের মধ্যে ঢাকা থেকে আছেন- ফারুক হাসান, এস এম মান্নান, শহীদউল্লাহ আজিম, আরশাদ জামাল দিপু, শহিদুল্লাহ আজিম, শিরিন সালাম ঐশী, আসিফ আশরাফ, মহিউদ্দিন রুবেল, তানভির আহমেদ, মো. খশরু চৌধুরী, আব্দুল্লাহিল রাকিব, হারুন অর রশিদ, রাজিব চৌধুরী, মিরান আলী, খন্দকার রফিকুল ইসলাম, ইমরানুর রহমান, নাসির উদ্দীন ও সাজ্জাদুর রহমান মৃধা শিপন। আর চট্টগ্রাম থেকে যে ছয় জন পরিচালক পদে নির্বাচিত হয়েছেন তারা হলেন- এ এম শফিউল করিম, এম আহসানুল হক, মো. হাসান, রকিবুল আলম চৌধুরী, তানভীর হাবিব, মোহাম্মদ মেরাজ-ই-মোস্তফা ও সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ফোরামের ১১ পরিচালক পদে ঢাকা থেকে বিজয়ীরা হলেন- রুবানা হক, এম এ রহিম, মাহমুদ হাসান খান, আসিফ ইব্রাহিম, এনামুল হক খান, মিজানুর রহমান, ফয়সাল সামাদ, নাভিদুল হক ও ভিদিয়া অমৃত খান। চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত দুজন হলেন- এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
×