ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাজের শোভা গহনা

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৫ এপ্রিল ২০২১

সাজের শোভা গহনা

উৎসব অনুষ্ঠানে সাজতে যারা ভালবাসেন গহনা নিয়ে একটু আলাদা করেই ভাবেন তারা। গহনা, পোশাক আর পরিবেশ মিলিয়ে তারা হয়ে ওঠেন ব্যক্তিত্বের প্রতীক। কে না জানেন, সাজের শোভাই হচ্ছে নানান রকমের গহনা। যেভাবেই সাজিনা কেন, গহনা ছাড়া সে সাজ অপূর্ণ থেকে যায়। গহনাতে ভেরিয়েশন আনতে স্বর্ণের পাশাপাশি বর্তমানে গোল্ড প্লেটেড, মেটাল, স্টোন, পুঁতিসহ নানা ধরনের গহনা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যোগ হচ্ছে নিত্যনতুন ট্রেন্ড। ফ্যাশনে এখন চোকার, লেয়ার নেকলেস, লহরী মালা, বিভিন্ন ধরনের কাটিং গহনা বেশ জনপ্রিয়। এ ধরনের গহনা শাড়ি ছাড়াও বিভিন্ন জমকালো পোশাকের সঙ্গে খুব সুন্দর মানায়। গহনার দোকানগুলোর দিকে তাকালেই এখন চোখে পড়বে রুপালি প্রলেপ দেয়া বিভিন্ন ধাতব গহনা। নানা আকৃতির রুপালি বিডস, কাটাই কাজ আর মুক্তার ব্যবহারে এসব গহনা হয়ে উঠছে শৈল্পিক। সিল্ক, মসলিন, কাতান শাড়ি ছাড়াও সারারা, লেহেঙ্গা, গাউনের সঙ্গে এ ধরনের গহনা বেশ মানাবে। এক ডিজাইনার বলেছেন, ‘ফ্যাশন ট্রেন্ডে এখন রুপালি প্রলেপের গহনা জনপ্রিয়। কখনও সরাসরি রুপার ব্যবহার, কখনও আবার ধাতবের ওপর রুপালি রঙের প্লেটিং করে এসব গহনা তৈরি হচ্ছে। সিলভার কালার ছাড়াও অক্সিডাইস, এন্টিক কালারও খুব চলছে। একটু ট্রেডিশনাল ধাঁচের গহনার প্রতি এখন আগ্রহটা বেশি। বিভিন্ন ধরনের গহনার মধ্যে চোকার এখন দারুণ জনপ্রিয়। এছাড়া সীতাহার, লম্বা চেইনের নেকলেস, চার-পাঁচ লেয়ার নেকলেস, ট্রেডিশনাল ঝুমকা, কানবালি, চাঁদের শেপের কানের দুল- এ ধরনের গহনা সাজে ভিন্নতা আনতে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন। এ সব গহনা ওয়েস্টার্ন এবং দেশী সব ধরনের পোশাকের সঙ্গে সুন্দর মানিয়ে যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘জমকালো অনুষ্ঠানে চোকার, লম্বা চেইনের ভারি নেকলেস ভাল লাগবে। একটু সিম্পল সাজপোশাকের সঙ্গে চার-পাঁচ লেয়ার নেকলেস পরেই সাজে আনতে পারেন ভিন্নতা। ক্যাজুয়াল পোশাকের সঙ্গে এক বা দুই চেইনের লকেট, চোকার, লম্বা মালা ভাল লাগেব। ওয়েস্টার্ন পোশাকের সঙ্গে গহনার রং যেন খুব বেশি উজ্জ্বল না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।’ ন্যাচারাল পাথরের গহনা খুব ঝকমকে না হলেও এখনকার ট্রেন্ডে বেশ জনপ্রিয়। বিডেস গহনাও চলনসই। পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে গহনা পরতে চাইলে পাথরের গহনা কিনতে পারেন। শাড়িতে গোল্ডেন বা তামাটে কাজ থাকলে অ্যান্টিক ধাঁচের গহনা মানাবে। কানের দুলের ক্ষেত্রে জ্যামিতিক আকার, চাঁদ শেপ, পাশা শেপ, চৌকা শেপ প্রাধান্য পাচ্ছে। আজকাল বড় নাকফুলও বেশ জনপ্রিয়। ধাতব বা রুপার তৈরি নথও পরছেন অনেকে। কখনও মুখ ঢাকা বড় নথ, তো কখনও নাকজুড়ে থাকা ফুল বা পাখির নকশার বড় নাকফুল। নাকফুল বড় পরলে তার সঙ্গে কান খালি রাখলে বা ছোট কানের দুল পরলে ভাল লাগবে। জমকালো সাজে এখন এক হাতে ব্রেসলেট, বালা বা বাউতির চল বেশি। অন্য হাতে থাকছে ঘড়ি বা আংটি। এক্ষেত্রে পাথর বসানো বালা বেছে নিতে পারেন। ব্রেসলেটের সঙ্গে চেইন লাগানো আংটির চল ফিরে এসেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে ব্রেসলেটের সঙ্গে লাগানো পাঁচ আঙুলে পাঁচটি আংটি, যাকে বলা হয় রতনচুড়। এটাও পরতে পারেন। ফরমাল দাওয়াতে এক আঙুলে শুধু বড় একটি আংটি ভাল লাগবে। পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে কনেরা এখন বেছে নিচ্ছেন স্বর্ণ, স্বর্ণের প্রলেপ দেয়া গহনাসহ রুপা ও হীরার গহনা। খুব সাধারণ নকশার বাহারি রঙের কুন্দনের ট্রেডিশনাল গহনা এখন পরছেন কনেরা। মাথায় তাজ পরার প্রচলন নেই। বরং ঝাঁপটা, সিতাপাটি এবং টিকলি পরার চল চলছে। তিনি বলেন, ‘আধুনিক কনে সাজে এখন ঝাঁপটা, সিতাপাটি এবং টিকলির মধ্যে যে কোন একটি বেছে নেয়া হচ্ছে। গলায় চোকার, সীতাহার, মুক্তার লহরী হার, কানে ট্রেডিশনাল ঝুমকা কিংবা ঝোলানো কানের দুল পছন্দ করছেন অনেকে।’ যমুনা ফিউচার পার্ক, ইস্টার্ন প্লাজা, নাভানা টাওয়ারসহ বিভিন্ন শপিং মলে পাওয়া যাবে বিভিন্ন নকশার গহনা। বৈচিত্র্যময় ট্রেন্ডি গহনার খোঁজে যেতে পারেন আড়ং, কনক দ্য জুয়েলারি প্যালেস, যাত্রাসহ বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসেও। এছাড়াও সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরি, জাফরিন’স রুবি, জহরতসহ বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক দোকান থেকেও কিনে নিতে পারেন ভিন্ন ধারার গহনা। ফ্যাশন ডেস্ক
×