ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী নদীতে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৬:০২, ৯ মার্চ ২০২১

টাঙ্গাইলের কালিহাতীর পৌলী নদীতে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের পশ্চিম পাশে পৌলী নদীতে অবৈধ বাংলা ড্রেজার বসিয়ে চলছে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। হুমকির মুখে পড়েছে ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ও রেল সেতু। যে কোন মুহুর্তে সেতুর নিচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ঘটতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এলেঙ্গা পৌর আওয়ামী যুব লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন মুসা, উত্তর পৌলীর শাহাদত, নূর মোহাম্মদ, শফিকুল, বাঁশী গ্রামের মিজানসহ একটি মহল অবৈধভাবে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে সেতুর দুই পাশে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। গত বর্ষা মৌসুমে রেলসেতুর দক্ষিণ পাশের নিচের অংশের মাটি সরে গিয়ে ঢাকার সাথে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। এতে সরকারের কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতু-ঢাকা মহাসড়কে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পৌলী নদীর ওপর কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত মহাসড়ক সেতু এবং রেল সেতুর পাশে বাংলা ড্রেজার বসিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে পৌলী নদীর ওপর পাশাপাশি নির্মিত সড়ক ও রেল সেতু দুটি হুমকির মুখে রয়েছে। এভাবে মাটি কাটার ফলে যেকোন সময় নদীর ওপর সেতু দুটি দেবে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে দেদারছে চলছে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন। অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের ফলে ইতিপূর্বে দু’বার তিতাস গ্যাসের মূল পাইপলাইন ফেটে যায়। এ কারণে টাঙ্গাইল, গাজীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বন্ধ থাকে গ্যাস সংযোগ। এসব এলাকার জনসাধারণকে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। ওই সময় নদীতে বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হলে সাময়িকভাবে মাটি বিক্রি বন্ধ হয়। পরে পাইপ লাইন মেরামত করা হলে আবার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে প্রভাবশালীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি বছর এভাবে মাটি কাটার ফলে রেলসেতু, কবরস্থান, বসতভিটা ও স্কুলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ড্রেজার মালিক আমিনুর বলেন, আমি মেশিনটি ভাড়া দিয়েছি। মূলত বালু উত্তোলন করছেন এলেঙ্গা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মোশারফ হোসেন মুসা। এ বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন মুসা বালু উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এসিল্যান্ড এবং ওসি মহোদয়কে জানিয়েই ব্যবসা করছি। এ ব্যাপারে কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, পৌলী নদীতে ড্রেজারের বিষয়টি আমি অবগত নই। যদি কোন ব্যাক্তি অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে মাটি উত্তোলন করে থাকে। তবে বিষয়টি তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
×