ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে নতুন অর্ডার স্থগিত করেছে এইচ অ্যান্ড এম

প্রকাশিত: ১২:২০, ৯ মার্চ ২০২১

মিয়ানমারে নতুন অর্ডার স্থগিত করেছে এইচ অ্যান্ড এম

অনলাইন ডেস্ক ॥ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ফ্যাশন ব্র্যান্ড সুইডেনের এইচ অ্যান্ড এম মিয়ানমারে তাদের নতুন অর্ডার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত ১ ফেব্রুয়ারির সেনাঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সাধারণ মানুষ যে বিক্ষোভ শুরু করেছে তা দমনে জান্তাবাহিনীর বলপ্রয়োগে হতবাক ও ক্ষুদ্ধ হয়ে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সোমবার জানান কোম্পানিটির কর্মকর্তারা। মিয়ানমারের সেনাঅভ্যুত্থান রক্তপাতহীন ভাবে হলেও অভ্যুত্থানের পর শুরু হওয়া বিক্ষোভে এরইমধ্যে অর্ধশত মানুষ নিহত হয়েছেন। মিয়ানমারে এইচ অ্যান্ড এম-র প্রায় ৪৫টি ‘ডিরেক্ট সাপ্লাইয়ার’ আছে। এক ইমেইলে মিয়ানমারে এইচ অ্যান্ড এম-র কান্ট্রি ম্যানেজার সেরকান তানকা বলেন, এই দেশে দীর্ঘমেয়াদে অবস্থান করার বিষয়ে আমরা এখনই কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা থেকে আপাতত বিরত থাকছি। তবে এই মুহূর্তে আমরা শুধু সেখানে আমাদের সাপ্লাইয়ারদের নতুন অর্ডার দেওয়া বন্ধ করছি। বর্তমান সংকটময় এবং অনিশ্চিত পরিস্থিতির কারণে ওই দেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা সীমিত হয়ে পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ সময়ে উৎপাদন এবং অবকাঠাম, কাঁচামাল আমদানি এবং তৈরি পোশাক পরিবহনেও নানা সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। মিয়ানমারে সোমবারও অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। প্রধান বাণিজ্যিক নগরী ইয়াংগনে দোকানপাট, কারখানা এবং ব্যাংক বন্ধ ছিল। তানকা বলেন, এইচ অ্যান্ড এম মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তারা এ বিষয়ে জাতিসংঘের নানা সংগঠন, কূটনৈতিক প্রতিনিধি, মানবাধিকার বিশেষজ্ঞ, ট্রেড ইউনিয়ন এবং অন্যান্য মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির সঙ্গে আলোচনাও করেছে। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, চীন ও থাইল্যান্ডের তুলনায় মিয়ানমারের তৈরি পোশাক শিল্প আকারে ছোট। তারপরও দেশটিতে প্রায় ছয়শ গার্মেন্ট কারখানা আছে। যেখানে প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ কাজ করেন।
×