ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঝড় তুলে স্বর্ণ জিতলেন হজিনসন

প্রকাশিত: ০০:৪৫, ৯ মার্চ ২০২১

ঝড় তুলে স্বর্ণ জিতলেন হজিনসন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ইউরোপিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপে বাজিমাত করলেন কিলি হজিনসন। ৮০০ মিটারে স্বর্ণপদক জয়ের ইতিহাস গড়লেন ব্রিটিশ তরুণী। ২ মিনিট ০৩.৮৮ সেকেন্ডে ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। সেই সঙ্গে গত ৫০ বছরের ইতিহাসে গ্রেট ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রমীলা খেলোয়াড় হিসেবে ইউরোপিয়ান ইনডোরে কোন পদক জয়ের রেকর্ড গড়লেন কিলি হজিনসন। অথচ গত বুধবারই ছিল হজিনসনের ১৯তম জন্মদিন। সেই জন্মদিন উৎসবের মাত্র চারদিন পরই রবিবার ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন নিজেকে। সেই সঙ্গে সিনিয়র ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টের পদক জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি। তার আগে গত বছরে জাতীয় আউটডোরে মুকুট জিতেছিলেন ১৯ বছরের এই তারকা স্প্রিন্টার। এবার ইউরোপিয়ান ইনডোর চ্যাম্পিয়নশিপেও চমকপ্রদ পারফর্মেন্স উপহার দিলেন তিনি। আর তাতেই অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে এই আসরে ব্রিটিশ প্রতিনিধি হিসেবে কোন পদক জয়ের স্বাদ পেলেন হজিনসন। তার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন মেরিলিন নিউফেবিলি। ১৯৭০ সালে ৪০০ মিটারে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৭। এই পদক জয়ের ক্ষেত্রে কোন ধরনের চাপ অনুভব করছেন কিনা? এমন প্রশ্ন যেন হেসেই উড়িয়ে দিলেন হজিনসন। তিনি বলেন, ‘আমার বয়স মাত্র ১৯, যে কারণে চাপের ব্যাপারে কোন রকমের চিন্তা মাথায় ঢুকেনি। আমার এখনও অনেক কিছু শেখার আছে। সেমিফাইনালের সময়ও আমি নিজেকে স্বস্তিতে রেখেছিলাম।’ হজিনসনের ট্রেইনার ট্রেভর পেইন্টার। যার স্ত্রী জেনি মিডোস ২০১১ সালে ৮০০ মিটারে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন। জেনি আবার হজিনসনের মেন্টর। তার অভিজ্ঞতাও দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন প্রয়োজনের সময়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা আমার প্রতি বিশ্বাস রেখেছে এবং আমাকে আমার মতো করেই বড় হতে সহায়তা করেছে। জেনির অভিজ্ঞতা আমার খুব কাজে লেগেছে। যখনই প্রয়োজন পড়েছে তা ব্যবহার করেছি।’ ইউরোপিয়ান ইনডোরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আসন্ন টোকিও অলিম্পিকে নিঃসন্দেহে অনুপ্রাণিত করেছে হজিনসনকে। টোকিওতে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক। করোনাভাইরাসের জন্য ইভেন্ট এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়। ঠিক হয় ২০২১ সালের ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে গেমস। ইতিমধ্যে অলিম্পিককে ঘিরে জাপান সরকারের খরচও বেড়েছে। তা সত্ত্বেও গেমস আয়োজন করতে তৎপর ইয়োশিহাইড সুগা প্রশাসন। করোনাভাইরাসের আবহেও জাপান সরকার দেশে অলিম্পিক আয়োজন করতে চায় বলে সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছেন ইভেন্ট প্রেসিডেন্ট ইয়োশিরো মোরি। তিনি জানান, কোন অঘটন না ঘটলে টোকিওতে নির্ধারিত সূচী মেনেই গেমস অনুষ্ঠিত হবে। এহেন পরিস্থিতিতে টোকিওতে এ্যাথলিটদের ফেস মাস্ক বাধ্যতামূলক হতে চলেছে। অলিম্পিকের ব্যাপারে হজিনসন বলেন, ‘আমি মনেকরি অলিম্পিকের মুহূর্তটা ইতিহাস হয়ে থাকবে। এবারের অলিম্পিক আয়োজনটা হবে অনেক কঠিন। যে কারণেই এবার যারা এই আসরে অংশগ্রহণ করতে পারবে তাদের কাছে ব্যাপারটা হবে অন্যরকম।’ হজিনসনের মতো গ্রেট ব্রিটেনের আরেক তরুণ প্রতিভাবান স্প্রিন্টার এ্যামি হান্ট। হজিনসনের খুব ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। একই বছর জন্ম তাদের। এই দুই তারকার মধ্যে বয়সের ব্যবধান মাত্র দুই মাস। এ্যামি হান্ট বর্তমান বিশ্বের অনুর্ধ-১৮ স্প্রিন্টারদের মধ্যে সবচেয়ে দ্রুততম দৌড়বিদ। খুব অল্প বয়সেই বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে নিজেকে দারুণভাবে মেলে ধরেছেন। তার সামনে এবার প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে পারফর্ম করার হাতছানি। গত বছরেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল টোকিও অলিম্পিকের। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে তা স্থগিত করে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
×