ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চলবে ১৬ মার্চ পর্যন্ত

মশক নিধনে অঞ্চলভিত্তিক ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ডিএনসিসির

প্রকাশিত: ২৩:৫৯, ৯ মার্চ ২০২১

মশক নিধনে অঞ্চলভিত্তিক ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ডিএনসিসির

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীবাসীকে কিউলেক্স মশার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ও মশার বংশবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে অঞ্চলভিত্তিক সমন্বিত অভিযান ক্র্যাশ প্রোগ্রাম শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ মশক নিধনকর্মী মশার কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া এ অভিযান শুক্রবার ছাড়া আগামী ১৬ মার্চ পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ ক্রাশ প্রোগ্রামে ডিএনসিসির সকল মশক নিধনকর্মী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীসহ মশক নিধনের সঙ্গে যুক্ত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী একটি অঞ্চলে একদিন করে কাজ করবেন। ডিএনসিসির সকল আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও একসঙ্গে এই অভিযানে অংশ নিয়ে অভিযান পরিচালনা করছেন। পরিদর্শনকালে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়েদুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান, তাইজুল ইসলাম চৌধুরী, সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ডিএনসিসি সূত্র জানায়, সোমবার মিরপুর-২ অঞ্চলে এ অভিযান সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার মিরপুর-১০ অঞ্চলে অঞ্চল-৪, ১০ মার্চ কাওরান বাজার অঞ্চল অঞ্চল-৫, ১১ মার্চ মহাখালী অঞ্চল অঞ্চল-৩, ১৩ মার্চ ভাটারা অঞ্চল অঞ্চল-৯ ও সাতারকুল অঞ্চলে অঞ্চল-১০, ১৪ মার্চ উত্তরা অঞ্চল অঞ্চল-১, ১৫ মার্চ দক্ষিণখান অঞ্চলে অঞ্চল-৭ ও উত্তর খান অঞ্চলে অঞ্চল-৮ এবং ১৬ মার্চ হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) এই অভিযান পরিচালিত হবে। ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম সোমবার সকাল সাড়ে সাতটায় পল্লবীর সাগুফতা খাল, ইনডোর স্টেডিয়াম, মিরপুর সেকশন-৬ ও মিল্কভিটা এলাকা পরিদর্শন করেন। বিকাল ৪টায় তিনি মিরপুর-১৩ নম্বর এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মেয়র বলেন, ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলে ৫৪টি ওয়ার্ড আছে। ইতোপূর্বে এই ওয়ার্ডগুলোতে সকালে মশার লার্ভিসাইড এবং বিকেলে এডাল্টিসাইড দেয়া হতো। কিন্তু আমরা কীটতত্ত্ববিদদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী টোটাল সিস্টেমটাকে এই প্রথমবারের মতো পরিবর্তন করলাম। এটি অত্যন্ত কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আমরা এখন প্রতিদিন দশটি অঞ্চল নয়, বরং এখন অঞ্চলভিত্তিক মশক নিধন করব। আজকে এসেছি অঞ্চল-২ এ, এখানে আমাদের আটটি ওয়ার্ড আছে। এই আটটি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬০ জন করে মশক কর্মী দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমরা মশার প্রজননস্থলের সর্বত্র টোটাল সুইপিং করতে চাই। এ জন্য আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ ও বর্জ্য বিভাগ একত্রে কাজ করছে। আমরা কাল (মঙ্গলবার) যাব অঞ্চল-৪ এ। অঞ্চল-৪ শেষ করে অঞ্চল-৫ এ। এভাবে আমরা কাজগুলো করছি এবং এভাবে আমরা দেখতে চাচ্ছি কি রেজাল্ট হয়। নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা না ফেলায় মেয়র আতিকের ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ ॥ সিটি কর্পোরেশনের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা রাখার ব্যবস্থা না করে রাস্তায় ময়লা ফেলায় এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করলেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। যত্রতত্র ময়লা না ফেলতে বার বার অনুরোধ করার পরেও রাস্তাজুড়ে ময়লার স্তূপ রাখায় এমন অভিনব প্রতিবাদ করলেন মেয়র। মিরপুর সেকশন-৬ এলাকায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ নির্মিত সরকারী আবাসনের গেটে এমন ঘটনা ঘটল। সোমবার সকালে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র দেখতে পান আবাসনের রাস্তার একটা বড় অংশজুড়ে ময়লার স্তূপ, এরপর সিদ্ধান্ত নেন এই ময়লা সরকারী আবাসনের গেটের সামনে ফাঁকা জায়গা রাখা হবে। যেই কথা সেই কাজ ময়লা অপসারণের যন্ত্র দিয়ে সেই রাস্তার ময়লা নিয়ে রাখলেন সরকারী আবাসনের গেটের সামনে। মেয়রের এই প্রতিবাদকে অনেকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ও অনেকে সঠিক কাজ করা হয়েছে বলেও প্রতিবাদ জানান। এ সময় স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, দেখুন এখানে ৬৫০টির অধিক ফ্ল্যাট আছে। যারা এই ভবনটা করেছেন, যারা এখানে থাকেন এটা দুঃখজনক বিষয়। যারা ভবন করেছেন তারা চিন্তা করেন নি ৬৫০টি ফ্ল্যাট বা ৭২০ ফ্ল্যাটের মালিকরা ময়লাটা কোথায় ফেলবে? ওনারা ময়লাটা রাস্তায় ফেলে দিয়েছেন, যারা সরকারী কর্মকর্তা ওনারা যদি রাস্তায় ময়লা ফেলেন বাকিরা কি করবেন? এজন্য বলেছি ময়লাটা পরিষ্কার করে ওনাদের সামনে যে সৌন্দর্যমণ্ডিত জায়গা আছে সেখানে ময়লাটা ফেলে দেন।
×