ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

খুনের আসামি খুন ॥ ঘাতকের ফাঁসির আদেশ

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ৯ মার্চ ২০২১

খুনের আসামি খুন ॥ ঘাতকের ফাঁসির আদেশ

মীর শাহ আলম, কুমিল্লা ॥ দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি করা বহু আলোচিত কুমিল্লার আদালতে বিচারকের খাস কামরায় একটি খুনের মামলার আসামি ফারুককে তার অপর সহযোগী আসামি হাসান কর্তৃক উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ঘাতক হাসানকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ চাঞ্চল্যকর এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। এ সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হাসান আদালতে উপস্থিত ছিল। দণ্ডপ্রাপ্ত হাসান জেলার লাকসাম উপজেলার ভোজপুর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে এবং আদালতে হাসানের ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া ফারুক জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের অহিদুল্লাহর ছেলে। তারা উভয়ে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি গ্রামের হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার আসামি। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লা আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে হাজী আবদুল করিম হত্যা মামলার শুনানিকালে এজলাসে ও বিচারকের খাস কামরায় এ চাঞ্চল্যকর ফারুক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মামলার অভিযোগ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, হাজী আবদুল করিম খুনের মামলায় ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৩য় আদালতে হাজিরা দিতে আসেন মামলার দুই আসামি মোঃ হাসান ও মোঃ ফারুক। ওইদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে আসামি হাসান একই মামলায় তার সহযোগী আসামি ফারুককে আকস্মিকভাবে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। একপর্যায়ে আত্মরক্ষার্থে ফারুক বিচারকের খাস কামরায় ঢুকে পড়লে সেখানেও তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। গুরুতর আহত ফারুককে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আদালতে একটি মাদক মামলার সাক্ষ্য দিতে আসা জেলার বাঙ্গরা বাজার থানার এএসআই ফিরোজ আহম্মেদ ঘাতক হাসানকে জাপটে ধরেন। ওইদিন রাতে এএসআই ফিরোজ আহম্মেদ বাদী হয়ে ঘাতক হাসানের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আতাব উল্লাহ এ হত্যা মামলায় ফারুকের ঘাতক আসামি হাসানের ফাঁসির আদেশ দেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন আদালতের পিপি এ্যাডভোকেট জহিরুল ইসলাম সেলিম ও এপিপি এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম এবং আসামি পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী এ্যাডভোকেট কাইমুল হক রিংকু ও এ্যাডভোকেট আ হ ম তাইফুর আলম।
×