স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ শুকনো মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গেই উত্তরাঞ্চলে (ভূগর্ভস্থ) পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। এর ফলে বোরো আবাদে বেড়ে গিয়েছে কৃষকের খরচ। চারা গজিয়ে ওঠার পর রুক্ষè মাটিতে দ্রুত পানি শুষে নেয়ায় অনেকটা সময় সেচ দিতে হচ্ছে। চলতি মৌসুমে উত্তরের ১৬ জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার ১২৭ হেক্টর জমি। চাল আকারে উৎপাদন আশা করা হয়েছে ৫৭ লাখ ৮৭ হাজার ৩১৮ মেট্রিক টন। কৃষক টার্গেটের অতিরিক্ত জমিতে আবাদ করেছে। কৃষি বিভাগ বলছে বোরো আবাদে সেচের বাড়তি খরচের কারণে প্রকৃতির সেচ বৃষ্টিনির্ভর আমন ও আউশের আবাদ বাড়ানোয় উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। বংশ পরম্পরায় কৃষক বোরোর আবাদে বেশি আগ্রহী।
অতীতে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে আমন আবাদ হতো বেশি। ষাটের দশকের মধ্যভাগে ইন্টারন্যাশনাল রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইরি) শুকনো মৌসুমে সেচনির্ভর অধিক ফলনের ধানের জাত উদ্ভাবন করে। প্রথমে ধানের নাম হয় ইরি। পরে তা বোরো নামে পরিচিতি পায়। অধিক উৎপাদনের কারণে বোরোর আবাদ থেকে কৃষককে আমনের অধিক আবাদে মুখ ফেরানো যায়নি। গত দশ বছরে আমনের চেয়ে বোরোর আবাদ অন্তত তিনগুণ বেড়েছে।
কৃষি গবেষণা কাউন্সিল বলেছে, প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার হচ্ছে ৩ হাজার ৫শ’ লিটার করে। ৪০ বছর আগে (১৯৮১ সালে) এক কেজি ধান উৎপাদনে সেচের পানির দরকার ছিল প্রায় ২ হাজার লিটার। দশ বছর আগে প্রয়োজন ৩ হাজার লিটার। ২০১৮ সালের হিসাবে প্রতি কেজি ধান উৎপাদনে সেচের পানির দরকার হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার লিটারেরও বেশি। যা স্থিতি হয়ে আছে। বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) কৃষি বিভাগের সাবেক পরিচালক এ কে এম জাকারিয়া বলেন, বিশে^র অনেক দেশ পাতালের পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূউপরিভাগের পানি (সারফেস ওয়াটার) ব্যবহারে জোর দিয়েছে।
ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ার জের
উত্তরাঞ্চলে বোরো আবাদের খরচ বেড়ে গেছে
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: