ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুজিব জন্মশতবর্ষে পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত

প্রকাশিত: ২৩:৪০, ৯ মার্চ ২০২১

মুজিব জন্মশতবর্ষে পর্যটন স্পটগুলো উন্মুক্ত

সমুদ্র হক ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিব জন্মশতবর্ষ উদযাপনে দেশের চারটি প্রত্নতাত্ত্বিক অবকাশ কেন্দ্র পর্যটকবান্ধবে রূপ নিয়েছে। এছাড়া দেশজুড়ে পর্যটন স্পটগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। দেশে চারটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানে পর্যটন ও অবকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এগুলো হলো বগুড়ার মহাস্থানগড়, নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দির ও বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ। ইতোমধ্যে সুন্দরবন, পাহাড়পুরের বৌদ্ধবিহার ও বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যে (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। দেশের আরও কয়েকটি স্থানকে বিশ্ব সম্পদে অন্তর্ভুক্তির জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশে আমন্ত্রিত হয়েছেন। বিশে^র অনেক দেশের প্রতিনিধির সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা আছে। এছাড়া বছরজুড়ে মুজিব জন্মশতবর্ষের অনুষ্ঠানগুলোতে দেশে দেশে মেলবন্ধনে বিভিন্ন দেশের মানুষ পর্যটক হয়ে আসবেন। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারতের সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ আছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা থেকে ভারতের জলপাইগুড়ি সরাসরি যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ট্রেন চলবে উত্তরাঞ্চলের চিলাহাটি সীমান্ত ও ভারতের হলদিবাড়ি সীমান্ত হয়ে। এজন্য ৫৬ বছর পর চিলাহাটি এবং হলদিবাড়ি রেলস্টেশনের মধ্যে নতুন রেললাইন স্থাপিত হয়েছে। এই লাইনে ১৯৬৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এই পথে উভয় দেশের পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর আগে ঢাকা-কলকাতা ট্রেন ও বাস চলাচল শুরু হয়। ভারতের আগরতলা পর্যন্ত যোগাযোগ স্থাপিত হয়েছে। সূত্র জানায়, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য, চিকিৎসা ও পর্যটকদের যাতায়াত বাড়ছে। করোনাকালে বন্ধ থাকলেও ভারত চিকিৎসা ও ব্যবসার কাজে ভিসা দেয়া শুরু করেছে। পর্যটকদের ভিসা প্রদান এখনও শুরু হয়নি। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পর্যটক ভিসা শিথিলের কথা বলেছেন। আশা করা হচ্ছে, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকালে বিষয়টি আলোচনায় থাকবে। দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোতে পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয় দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের একটি বৈঠকে। সেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ ও নেপালের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন স্থাপত্য শিল্প, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে কেন্দ্র করে পর্যটন শিল্প বিকাশে হেরিটেজ হাইওয়ে গড়ে তোলার প্রস্তাব করার পর সিদ্ধান্তে রূপান্তর হয়। পরে সম্প্রসারিত হয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বিস্তার লাভ করে। মানুষে মানুষে মেলবন্ধনে পর্যটন শিল্পের অগ্রযাত্রায় শরিক হয় প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর।
×