ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৪১তম বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবি, টিকা নিশ্চিতের আহ্বান

প্রকাশিত: ২৩:৩০, ৯ মার্চ ২০২১

৪১তম বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবি, টিকা নিশ্চিতের আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার্থীদের টিকা দেয়ার পর পরীক্ষা শুরু করার দাবি জানিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। এজন্য অবিলম্বে পরীক্ষা পেছানোরও দাবি জানিয়েছেন তারা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের মতো বিসিএস পরীক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে তারপর পরীক্ষা নেয়ার দাবি তাদের। এদিকে আগামী ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এ বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার আসন বিন্যাস প্রকাশ করেছে সরকারী কর্ম কমিশন (পিএসসি)। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে টিকা নিশ্চিত করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি তুলেছেন একদল পরীক্ষার্থী। সংবাদ সম্মেলনে ৪১তম বিসিএস পরীক্ষায় আবেদনকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ইডেন মহিলা কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের একদল শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তাদের দাবি, করোরা পরিস্থিতি এখনও এমন পর্যায়ে যায়নি যে, পৌনে পাঁচ লাখ শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা হলে বসাবেন। বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজগুলোর আবাসিক হল খোলার পর শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় এনে পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণের দাবি তুলেছেন তারা। গত এক মাসের করোনার পরিস্থিতির পরিসংখ্যান তুলে ধরে তারা বলেন, আমাদের এসব দাবি তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে পরীক্ষার পেছানোর দাবি জানিয়েছি। কিন্তু পিএসসি এতে কর্ণপাত করেনি। তাই আজ সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানাতে এসেছি। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইয়াসহী শামীম ওসমান বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্তে ঝুঁকি বিবেচনায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও হলগুলো বন্ধ আছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আগামী ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন ৪১তম বিসিএসের (প্রিলিমিনারি) পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষার্থী, যারা আবাসিক হলে থাকি, তারা বেশ কিছু যৌক্তিক কারণে এ পরীক্ষা পিছিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। তাই পরীক্ষার তারিখ হল খোলা ও টিকাদান কার্যক্রমের সঙ্গে সমন্বয় করে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। পরীক্ষা পেছানোর পক্ষে যুক্তি দিয়ে শামীম বলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ও সংক্রমণের উর্ধগতির মধ্যে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার ঝুঁকিতে পড়বে। এ সময়ে চার লাখ ৭৫ হাজার বিসিএস পরীক্ষার্থী অভিভাবকসহ দেশজুড়ে ছুটাছুটি করলে দেশের সব জায়গায় পরিস্থিতি অবনতির সুযোগ সৃষ্টি হবে। করোনাভাইরাসে এক বিসিএস পরীক্ষার্থীর মৃত্যুর তথ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী বলেন, একটি বিসিএসের কারণে আরও কিছু জীবন ঝুঁকিতে পড়বে নাÑ এর নিশ্চয়তা কি? তবে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নির্দেশনায় চলমান টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা অচিরেই করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হল খোলার আগেই টিকাদান সম্পন্ন হবে। তাই মাত্র দুই মাস পরেই ঝুঁকিমুক্ত পরিবেশে ৪১তম বিসিএস নেয়া যেতে পারে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাতায়াত ও আবাসন সমস্যার কথা তুলে ধরে শামীম বলেন, এসব সঙ্কট এড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরেই পরীক্ষা নেয়া যৌক্তিক। এর আগে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হল বন্ধ থাকায় ৪১তম বিসিএস পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কদিন ধরেই মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করছেন পরীক্ষার্থীদের একটি অংশ। এছাড়া পিএসসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপিও দিয়েছেন পরীক্ষার্থীরা।
×