ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জামালপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার, মাদরাসা পরিচালক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৮ মার্চ ২০২১

জামালপুরে মাদরাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার, মাদরাসা পরিচালক গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় নিজ মাদরাসার আবাসিকের এক ছাত্রীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে মাদরাসাটির পরিচালক ও শিক্ষক মোখলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) রাতে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার পৌর এলাকার নাগেরপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় রবিবার তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মেলান্দহ থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গ্রেফতার মাদরাসা পরিচালক মোখলেছুর রহমান মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের ঠেঙ্গেপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি মেলান্দহ পৌরসভার নাগেরপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করেন। ওই বাড়িতেই তিনি মিছবাহুল জান্নাত নামে একটি আবাসিক মহিলা কওমি মাদরাসা পরিচালনা করেন। বৃহস্পতিবার রাতে মাদরাসার পরিচালক মোখলেছুর রহমানের স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। এই সুযোগে তিনি তার মাদরাসার আবাসিক কক্ষ থেকে ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে নিজের ঘরে ডেকে নেন। ওই ছাত্রী ২০১৭ সাল থেকে এই মাদরাসার আবাসিক ছাত্রী। সারারাত আটক রেখে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন মোখলেছুর রহমান। মোখলেছুর রহমান ওই ছাত্রীকে রাতের ঘটনা কাউকে না বলার ভয় দেখিয়ে ভোররাতে তাকে মাদরাসার আবাসিক কক্ষে পাঠিয়ে দেন। পরে সকালে মেয়েটি একই উপজেলার নয়ানগর ইউনিয়নের চরবসন্ত গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওই রাতের ঘটনা তার বাবা-মাকে খুলে বলে। মেয়েটির দরিদ্র কৃষক বাবা ঘটনার তিনদিন পর রবিবার সকালে মেয়েকে সাথে নিয়ে মেলান্দহ থানায় গিয়ে মোখলেছুর রহমানকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। রবিবার বিকেলেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে নাগেরপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে মোখলেছুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে সোমবার সকালে গ্রেপ্তার আসামি মোখলেছুর রহমানকে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। একই সাথে জামালপুর সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে। মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, মাদরাসার এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ওই মাদরাসার পরিচালক মোখলেছুর রহমানকে জামালপুরের মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন। জামালপুর সদর হাসপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
×