অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্বিতীয় দিনের মতো দেশের শেয়ারবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগের দিনের মতো বিনিয়োগকারীদের বড় ধরনের অংশগ্রহণ ছিল না। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বিক্রির চাপ কিছুটা কমে গিয়েছিল যার কারণে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে। কিন্তু রবিবারের সকালটি অন্যরকম ছিল। শুরুতেই বিনিয়োগকারীদের শেয়ার কেনা-বেচার চাহিদা ছিল। পরে তা কিছুটা কমে যায়। উভয় শেয়ারবাজারেই ব্যাংকের দর কমলেও আর্থিক খাতের দর বেড়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সকালেই সূচকের বড় ধরনের উত্থান দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। বেশিরভাগ কোম্পানির দর বাড়ার কারণে উর্ধমুখীই ছিল প্রধান শেয়ারবাজারের সূচক। কিছুক্ষণ পর বড় মূলধনী কয়েকটি কোম্পানির দর কমতে থাকে। এভাবে টানা ওঠানামার পর দিনশেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স এর অবস্থান দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬০৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট, যা আগের দিনের চেয়ে ২০ দশমিক ০৮ পয়েন্ট বেশি। এদিন ডিএসইর অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১১ দশিক ৯৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট বেড়েছে।
সোমবার ডিএসইতে ৭২১ কোটি ৫১ লাখ টাকা মূল্যের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ১৫৫ কোটি ২৪ লাখ টাকার কম লেনদেন হয়েছে। গতকাল লেনদেন হয়েছিল ৮৭৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার।
ডিএসইতে মোট ৩৪৭টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৯টির, দর কমেছে ১০৭টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১১১টি কোম্পানির।
ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে জ্বালানি ও শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১১৩ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। যা মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৩১ ভাগ। এরপরেই রয়েছে আর্থিক খাতের কোম্পানির দর। দিনটিতে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৮৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ শতাংশ।
অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬১ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট। সূচকটি ১৬ হাজার ২৬২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার।
সিএসইতে মোট ২৩০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৯২টির, দর কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬১টির।
