অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগের সপ্তাহের উর্ধগতির ধারাবাহিকতায় প্রথম কার্যদিবস রবিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের বড় উত্থান হয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির চাহিদা বাড়ার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমলেও সূচকের বড় উত্থান সম্ভব হয়েছে। বিশেষ করে উভয় শেয়ারবাজারেই ব্যাংক ও ব্যাংক বর্হিভূত আর্থিক খাতের বেশি চাহিদা ছিল।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, লাফার্জ হোলসিম, সামিট পাওয়ার, লঙ্কা বাংলা ফাইনান্সের মতো কোম্পানির আধিপত্য দিয়ে দিনের লেনদেন শুরু হয়। সেইসঙ্গে সকাল থেকেই প্রায় সবকটি ব্যাংকের দর বেড়েছিল। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে প্রথম ৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৪২ পয়েন্টে বেড়ে যায়।
এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৮৪ পয়েন্টে উঠে এসেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৪৩ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের বড় উত্থান হলেও ডিএসইতে দর বেশি বাড়ার কোম্পানির চেয়ে দরপতনের তালিকায় স্থান নেওয়া কোম্পানির সংখ্যা বেশি ছিল। দিনভর বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে। এর বিপরীতে কমেছে ১৩৩টির। আর ১০০টির দাম অপরিবর্তিত ছিল।
কিন্তু বড় মূলধনী কোম্পানির দর বাড়ার কারণে বেশিরভাগ কোম্পানির দরপতনও কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। সেখানে মূল্য সূচকের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৮৭৬ কোটি ৭৫ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭০৭ কোটি ৫৪ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন বেড়েছে ১৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১১৫ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাফার্জহোলসিমের ৭৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৬৪ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে সামিট পাওয়ার।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্য সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ২২৪ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ২২ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৩৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৫টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮১টির এবং ৫৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: