ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নীলফামারীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন

প্রকাশিত: ১৪:৪৮, ৭ মার্চ ২০২১

নীলফামারীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ নানান কর্মসূচীর মাধ্যমে নীলফামারীতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় সরকারী ও বেসরকারী ভাবে পালন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সরকারী দফতর ও জেলা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সহল অঙ্গসংগঠন এবং বিভিন্ন ক্লাব নানান আয়োজনে দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। আজ রবিবার সুর্য্যদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সরকারি ও বেসরকারি ভবন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের বীরমুক্তিযোদ্ধারা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা স্কাউটস, জেলা রোভার স্কাউটস ও সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পপমাল্য অর্পণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে দলটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বক্তরা বলেন, আজ ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালী জাতির দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অনন্য দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক বিশাল জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। এদিকে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে ৫০টি জাতীয় পতাকা নিয়ে জেলা রোভার স্বাউটসের সদস্যরা আনন্দ র্যালী করে। অপর দিকে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের হলরুমে বীর মুক্তিযোদ্ধারা ৭ মার্চের উপর সমাবেশ ও আলোচনা সভা করে। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ডাকে স্বাধীনতা সংগ্রামের মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়া বীরমুক্তিযোদ্ধাদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ ছাড়া সরকারি ভাবে দিনব্যাপী কর্মসুচীর মধ্যে রয়েছে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে করোনায় জেলার কর্মহীন শিল্পী, কলা-কুশলী, কবি সাহিত্যিকদের মাঝে আর্থিক অনুদান চেক বিতরণ করা হবে। এছাড়া দিনব্যাপি কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চে প্রদত্ত ভাষণ প্রচার, আলোচকচিত্র প্রদর্শনী, বঙ্গবন্ধুর ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শিশু একাডেমি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, সংগীত ও নৃত্য আয়োজন করেছে। অনুরূপভাবে জেলার ৬ উপজেলায় ৭ মার্চ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।
×