ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

প্রতিপক্ষের বাঁধায় মরে যাচ্ছে চা আর কলাবাগান

প্রকাশিত: ১৪:২৩, ৭ মার্চ ২০২১

প্রতিপক্ষের বাঁধায় মরে যাচ্ছে চা আর কলাবাগান

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ প্রতিপক্ষের বাঁধার কারণে পরিচর্যার অভাবে মরে যাচ্ছে একটি কলাবাগান ও একটি চা বাগান। পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের করোতোয়া নদীর তীর ঘেষা নতুনবস্তি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বাগান দুটির মালিকের অভিযোগ, প্রতিপক্ষরা বাগানে পানি সেচ করতে দিচ্ছেনা। পরিচর্যাও করতে দিচ্ছেনা। তাই গাছগুলো মরে যাওয়া শুরু করেছে। এ ব্যাপারে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে শালিস বৈঠক হলেও কোন সমাধান হয়নি। এ ব্যাপারে বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তারা। পুলিশ জানিয়েছে পুলিশের অনুরোধকেও তোয়াক্কা করছেনা প্রতিপক্ষ। জানা যায়, নতুনবস্তি গ্রামের মৃত সাধু ব্যাপারির ছেলে নইমউদ্দিন গত বিশ বছর আগে ওই এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন। সুধাসূজন মৌজায় কেনা ১২ বিঘা জমির একটি প্লটে চার বিঘা জমিতে কলা বাগান, ৩ বিঘা জমিতে চা বাগান এবং ৫ বিঘা জমিতে শাক সবজিসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করে আসছেন। কলাবাগানটিতে দুই হাজার কলা গাছ রয়েছে। সাগর কলা প্রজাতির এই বাগানের প্রত্যেক গাছেই থরে থরে ফল এসেছে। আগামী রমজান মাসে কলা পাকা শুরু করবে। অন্যদিকে চা বাগান থেকে এসময় নতুন পাতা নতুন কুড়ি আসার কথা। কিন্তু পানির অভাবে কলা এবং চা গাছগুলো মরে যাচ্ছে। এই মুহুর্তে পানি দিতে না পারলে অচিরেই বাগান দুটি ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রতিপক্ষের বাঁধার কারণে প্লটের অন্য ৫ বিঘা জমিতে কোন আবাদ করতে পারছেনা জমির মালিক। খালি পড়ে আছে। বাগানের মালিকের অভিযোগ প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত মুন্সেফ আলীর ছেলে আব্দুল হানিফ ও তার পরিবার জোর করে জমিটি দাবি করছে। বাগানে পানি দিতে গেলেই তারা আমাদেরকে বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন। তাদের বাঁধার কারণে একদিকে বাগান মরে যাচ্ছে অপরদিকে ৫ বিঘা জমিতে কোন আবাদই করতে পারছেন না তারা। এ ব্যাপারে বোদা থানায় লিখিত অভিযোগ করার পরও কোন কাজ হচ্ছেনা। বাগান মালিক নইমউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কলাবাগানে গাছ মরে যাবার কারণে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হবে । চা বাগানে ক্ষতি হচ্ছে ১৬ লাখ টাকা। অন্য জমিতে আবাদ করতে না পারার কারণে আরও অন্তত: ১০ লাখ টাকা ক্ষতি হচ্ছে। এতে আমি পথে বসে গেছি। জমির কাগজ পত্র ঠিক আছে, দীর্ঘদিন দখল করে আছি। আমার এখানে কেউ নেই । আমরা বাইরে থেকে এসে এখানে বসত বাড়ি করেছি । প্রতিপক্ষরা এই সুযোগ নিয়ে জোর করে জমি দাবি করে আমার ফসল নষ্ট করছে। প্রতিপক্ষ আব্দুল হানিফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। জমির প্রকৃত মালিক করোতোয়া টি এ্যাষ্টেট ও আমরা। করোতোয়া টি এ্যাষ্টেটে আমার দুই ছেলে চাকরী করে। তাই তাদের পক্ষ থেকে আমি কাজ করছি। এ ব্যাপারে বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বাগানে পানি সেচ করতে দেয়ার জন্য আব্দুল হানিফকে মৌখিক ভাবে অনুরোধও করা হয়েছে।
×