ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পরকীয়ার অভিযোগ, দুর্বৃত্তের হামলায় যুবক খুন

প্রকাশিত: ০০:১২, ৬ মার্চ ২০২১

পরকীয়ার অভিযোগ, দুর্বৃত্তের হামলায় যুবক খুন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা ও দাউদকান্দি, ৫ মার্চ ॥ কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় পরকীয়া করতে এসে দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছে এক যুবক। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার চর কাঁঠালিয়া (ভাটেরার চর) গ্রামের মৃত মনির মিয়ার বাড়িতে। নিহত যুবক মোঃ আরিফ (৩০) দাউদকান্দি উপজেলার সবজিকান্দি গ্রামের মৃত বজলুল হকের ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই বাড়িতে কোন পুরুষ নাই এবং সুমির ঘর তালাবদ্ধ। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা যায়, মৃত মনির মিয়ার ছেলে সৌদি প্রাবাসী মুক্তার হোসেনের স্ত্রী মৌসুমি ওরফে সুমি (২৬)-এর সঙ্গে আরিফের পরকীয়া সম্পর্কের টানে বৃহস্পতিবার রাতে চর কাঁঠালিয়া সুমির বাড়িতে আসে। এসময় ওই গ্রামের কিছু দুর্বৃত্ত ঘটনাটি আঁচ করতে পেরে সুমির ঘর থেকে আরিফকে ধরে এনে এলোপাতাড়ি মারধর করে গুরুতর আহত করে। এসময় আরিফের স্বজনদের ফোনে খবর দিলে তার স্বজনরা এসে আরিফকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গৌরীপুর নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করে, ঢাকা নেয়ার পথে যাত্রাবাড়ী গিয়ে পৌঁছলে গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। নিহত যুবকের মামাত ভাই নিক্সন জানান, সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় আরিফ বাসা থেকে বলে যায় আমি এক জয়গায় যাচ্ছি আসতে দেরি হবে, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ছোট ভাই হাসানের নিকট ফোন আসে সুজন নামের এক লোক নৌবাহিনীতে চাকরি করে বলে পরিচয় দিয়ে বলে আপনাদের আরিফ নামের লোক আমাদের এখানে আটক আছে এসে নিয়ে যান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই, গিয়ে দেখি আরিফের অবস্থা খুবই খারাপ, এ সময় আমরা আরিফকে দ্রুত নিয়ে আসতে চাইলে তারা আমাদের বাধা প্রদান করে এবং আমাদের নিকট টাকা দাবি করে, এই নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আরিফ বমি করে এবং বমির সঙ্গে রক্তক্ষরণ হলে তখন তারা একে একে চলে গেলে আমরা আরিফকে নিয়ে আসি এবং গৌরীপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ট করলে ঢাকা নেয়ার পথে যাত্রাবাড়ী গিয়ে পৌঁছলে গাড়িতেই আরিফ মারা যায়। এ বিষয়ে তিতাস থানা ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ আহসানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমরা নিহতের স্বজনদের ফোন দেই এবং তারা লাশ থানায় নিয়ে আসলে সুরত হাল রিপোর্ট করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মর্গে প্রেরণ করি। নিহতের শরীরে বিভিন্ন জায়গায় অনেক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে এবং আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । এ রিপোর্ট প্রেরণ পর্যন্ত তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলার দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
×