ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৭ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ৫ মার্চ ২০২১

কুমিল্লা ইপিজেডে ৪৭ প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থান

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ৪ মার্চ ॥ কুমিল্লা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) দেশের মধ্যে চতুর্থ বৃহত্তম। এ পর্যন্ত এখানে মোট বিনিয়োগ এসেছে ৪৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ৩ হাজার ৬৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্যসামগ্রী রফতানি হয়েছে। বর্তমানে এ ইপিজেডে দেশী-বিদেশী ও যৌথ মালিকানার ৪৭টি চালু প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৩৫ হাজার শ্রমিক-কর্মচারী কাজ করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লা ইপিজেডের হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন বেপজা প্রধান কার্যালয়ের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) নাজমা বিনতে আলমগীর। সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, এ ইপিজেডে দেশের বিনিয়োগকারী ছাড়াও চীন, জাপান, তাইওয়ান, হংকং, সিঙ্গাপুর, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া বিনিয়োগ করেছে। এখানে গার্মেন্টস এক্সেসরিজ, স্যুয়েটার, ফেব্রিক্স, টেক্সটাইল ডাইজ এ্যান্ড অক্সিলিয়ারিজ, ইলেক্ট্রনিক্স পার্টস, এলিমেনেটিং ব্রাশ, ফুটওয়্যার ও ফুটওয়্যার আপারস, ক্যামেরা কেইস, ব্যাগ, ইয়ার্ন, প্লাস্টিক পণ্য, হেয়ার ও ফ্যাশন এক্সেসরিজ, মেডিসিন বক্স, আই প্যাচ, কার্পেট, গ্লোভস, লাগেজ, মেডেল, পেপার প্রোডাক্টসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদিত হচ্ছে। তিনি বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডে কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) রয়েছে। এর ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করার ক্ষমতা রয়েছে। ২০১৫ সালে এর উদ্বোধন করা হয়। ওই সময় থেকে এ ইপিজেডের শিল্প কারখানাগুলো হতে পৃথক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সম্পূর্ণ তরল বর্জ্য সংগ্রহ করে কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগারে নেয়া হয় এবং রাসায়নিক ও জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন গড়ে ৮ হাজার ঘনমিটার (শতভাগ) বর্জ্য পরিশোধনের মাধ্যমে নির্মল পানিতে পরিণত করে নিষ্কাষণ করা হয়। প্রতি মাসে দুইবার সিইটিপির আউটলেটের পানি বেপজা গ্রীন ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া বিশেষজ্ঞ ও মনিটরিং টিম এর কার্যক্রম পরীক্ষা ও পরিদর্শন করে থাকেন। ফলে এ ইপিজেডের সিইটিপি থেকে নিঃসরিত পানির মাধ্যমে পরিবেশ, নদী-নালা, কৃষি জমি ও জীববৈচিত্র্যের কোনরূপ ক্ষতি হয় না বলে দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বেপজা-কুমিল্লার মহাব্যবস্থাপক মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন, কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন এলাকার খাল ও ড্রেনের ময়লা পানি ও বর্জ্য ইপিজেডের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষা ড্রেনের মাধ্যমে খাল-ড্রেন হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে পতিত হয়। ইপিজেডের পরিশোধিত পানির সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের স্যুয়ারেজ বর্জ্য ও মিলিটারি ফার্মের বর্জ্য একত্রে মিশ্রিত হয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে নগর কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধি সমন্বয়ে টিম গঠন করে ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়। এসময় বেপজা কুমিল্লার উপমহাব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান নয়নসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
×