বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। এটাই আমার বিশ্বাস। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না। সবার সহযোগিতায় এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।
জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করে গবেষণা চালিয়ে যেতে শিক্ষক, বিজ্ঞানী ও গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময় চাই যে মানবকল্যাণে কাজ করতে হবে এবং আপনারা এইটুকু মনে রাখবেন যে, আমরা যে ফেলোশিপ দিচ্ছি বা অর্থ বরাদ্দ করেছি এটা কিন্তু জনগণেরই অর্থ। কাজেই তা যেন জনগণের কল্যাণে লাগে, সেই দিকটায় বিশেষ করে দৃষ্টি দিয়ে গবেষণা কাজ আপনারা চালিয়ে যাবেন, সেটা আমরা চাই।’
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জাতির পিতা দেশের মানুষকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, যেখানে জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে স্বল্পোন্নত দেশ রেখে গিয়েছিলেন, আমরা এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের অবস্থানটা করতে পেরেছি। আমরা ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করব। বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পেয়েছে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ফেলোশিপ এবং অনুদানের চেক বিজ্ঞানী ও গবেষকদের হাতে তুলে দেন। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হকসহ মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সবসময় গুরুত্ব দেয় জানিয়ে সরকার প্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন অবাক হয়ে দেখলাম বিজ্ঞানের জন্য কোন বরাদ্দ ছিল না, গবেষণার জন্য কোন বরাদ্দ ছিল না। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আমরা যদি দেখি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটা তো আমাদের অগ্রগতি সাধন করবার একটা উপায়। গবেষণা ছাড়া বা বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কিভাবে একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে? কারণ বিজ্ঞানের যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের চলতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর গবেষণার জন্য বাজেটে আলাদা বরাদ্দ রাখার পাশপাশি বিজ্ঞান শিক্ষার প্রসারে নানা উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে শিক্ষা ও গবেষণায় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়ার কথাও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ২০০৮ সাল থেকে এই পর্যন্ত সব কয়টি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার ফলে আমরা যেহেতু দীর্ঘদিন সরকারে থাকার সুযোগ পেয়েছি এবং সরকারের ধারাবাহিকতা আছে, যার কারণে আজকে মানুষের যে মৌলিক চাহিদা, সেগুলো পূরণ করতে আমরা সক্ষম হয়েছি।
বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের আরও মনোযোগের সঙ্গে মানবকল্যাণে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণা ও বিজ্ঞানের বিবর্তন দেশের উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। আমি সবসময় চাই মানবকল্যাণেই কাজ করতে হবে। আমাদের কৃষি নির্ভর অর্থনীতির যান্ত্রিকীকরণের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের জায়গা কম হলেও সেই জায়গার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমেই আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছি। কাজেই সেটা মাথায় রেখেই গবেষণায় আরও জোর দিতে হবে। যাতে বাংলাদেশ জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে উঠতে পারে, সেটাই আমরা চাই।
তিনি বলেন, দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হলে দেশে এবং বিদেশেও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে, আমরা সেদিকেই লক্ষ্য রাখছি। আর প্রতিটি শিল্প কারখানায় গবেষণা ও উন্নয়ন শাখাকে কার্যকরী এবং শক্তিশালী করতে হবে। তার সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে এক শ’ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। সেখানে শিল্প প্রতিষ্ঠিত হবে, তাই সেখানেও গবেষণার একান্তভাবে প্রয়োজন। তিনি বলেন, গবেষণার মাধ্যমেই আমরা ব্যয় কমাতে এবং উৎপাদনের উৎকর্ষতা বাড়াতে পারি এবং বহুমুখী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রফতানি বাড়াতে পারি। রফতানি পণ্য বাড়ানোর জন্যও গবেষণার প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি এবং আমাদের রফতানি যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে বিশেষভাবে আপনারা দৃষ্টি দেবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ইতোমধ্যে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছে, সমগ্র বাংলাদেশে ব্রডব্যান্ড সংযোগ দেয়া হচ্ছে এবং এভাবেই বিজ্ঞানকে ব্যবহার করে তার সরকার সামনে এগিয়ে যাবে। অবকাঠামো উন্নয়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নেও তার সরকার ব্যাপক কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে, যার সুফল দেশবাসী পাবে, দেশের মানুষও পাবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে সেই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, জাতির পিতা মাটি ও মানুষ নিয়েই একদিন যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের কাজ হাতে নিয়েছিলেন। তাই আমরা মনে করি এখন এটা আমাদের দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধু স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে দেশকে রেখে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছি এবং ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করব ইনশাআল্লাহ। যারা ফেলোশিপ পেয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, গবেষণা এবং বিজ্ঞানের প্রসার একটি দেশের উন্নয়নে একান্ত অপরিহার্য। কাজেই আপনারা গবেষণা চালিয়ে যাবেন এবং আপনাদের পথ ধরে আগামী প্রজন্মও বিজ্ঞানের গবেষণা করবেন, সেটাই আমরা চাই।
সূত্র মতে, বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও গবেষক তৈরির লক্ষ্যে দেশে-বিদেশে বিজ্ঞান প্রযুক্তি গবেষণা-অধ্যয়নে এমএস, এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর প্রোগ্রামের জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ’ প্রদান করা হয়। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে চলতি (২০২০-২১) অর্থবছর পর্যন্ত ৫৯৬ জনকে ১৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া এমফিল, পিএইচডি ও পিএইচডি-উত্তর পর্যায়ে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের আওতায় ২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত ১৯ হাজার ৭৩০ ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের মধ্যে ১২১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ফেলোশিপ প্রদান করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের রফতানি খাতে আমরা শুধু একটা বা দুইটার ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা বহুমুখী পণ্য উৎপাদন করে রফতানি করতে পারি। তার মধ্যে যেমন ডিজিটাল ডিভাইসগুলো, অর্থাৎ এখন আমরা যেহেতু ডিজিটাল বাংলাদেশ কাজেই এই ক্ষেত্রে যা যা প্রয়োজন আমরা কিন্তু সেগুলো করতে সক্ষম, আমরা তা পারি। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন ও রফতানির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, আমাদের দেশের অনেক সুযোগ রয়েছে, আমাদের রফতানি পণ্য বাড়াতে হলেও কিন্তু গবেষণার প্রয়োজন আছে। কাজেই আমি আশা করি সবাই নতুন নতুন পণ্য সৃষ্টি এবং আমাদের রফতানি যেন অব্যাহত থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।
’৭৫ পরবর্তী সামরিক স্বৈরশাসকরা দেশের উন্নয়ন না করে নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নেই বেশি ব্যস্ত ছিল উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা দেখেছি তারা মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল। সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বোমাবাজি, সেশন জট, আর অস্ত্রের ঝনঝনানিই পরিলক্ষিত হয়। তবে, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর থেকে এ বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়ে দেশে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছি।
করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় এক বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, এটা মানুষের জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্যই করা হয়েছিল। তবে ইতোমধ্যে টিকা দান কর্মসূচী শুরু হয়েছে এবং সেক্ষেত্রে শিক্ষক এবং কর্মচারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। টিকা দেয়া পর্ব শেষ হলেই এই মার্চ মাসের শেষের দিকে তার সরকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতে শিক্ষার্থীরা দেশে বিজ্ঞান পড়ার ওপর আগ্রহ হারিয়ে ফেললে তার সরকারই প্রথম দেশে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের অগ্রগতি সাধনের একটা উপায়। আর গবেষণা বা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ছাড়া একটা জাতি সামনে এগিয়ে যেতে পারে না। কারণ বিজ্ঞানের যুগে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। তিনি বলেন, যে কারণে তার সরকার ক্ষমতায় এসেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিক্ষা ও গবেষণা উন্নয়নে বিশেষ মনোযোগ দেয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়, সমুদ্র বিজ্ঞান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউট, নভোথিয়েটার প্রতিষ্ঠা করে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশ। আর এই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পেরেছিলাম বলেই করোনা মোকাবেলাতেও যথেষ্ট সহযোগিতা এবং সুযোগ পেয়েছি। আমরা উচ্চশিক্ষার প্রসারে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছি।
প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, যার যেখানে দক্ষতা থাকবে সে সেভাবেই গড়ে উঠবে এবং দেশে-বিদেশে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে এবং দেশ লাভবান হবে। আমরা হাইটেক সিটি, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার প্রযুক্তি পার্ক স্থাপন করেছি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জনপ্রিয়করণের লক্ষ্যে আমরা ৪৯০টি উপজেলায় এবং ৯০টি ইউনিয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্লাব গঠন করেছি। তিনি বলেন, তার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ গত বারো বছরে ১১৭টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে, ২১১টি প্রযুক্তি বাণিজ্যিকীকরণের জন্য হস্তান্তর করেছে, ৪১টি প্রযুক্তির প্যাটেন্ট অর্জন করেছে এবং ৭টির জন্য প্যাটেন্ট আবেদন করেছে।
এ সময় রুপপুরের মতো দ্বিতীয় পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সরকার দক্ষিণবঙ্গে জায়গা খুঁজছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাইড্রোজেন শক্তি গবেষণাগার, জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপনের কাজ অতি দ্রুতই সম্পন্ন হবে। তার সরকার সব বিভাগীয় শহরে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার স্থাপনের উদ্যোগও গ্রহণ করেছে। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে বলে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়ও যথেষ্ট সহযোগিতা ও সুযোগ পাওয়া গেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
