ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ জিল্লুর রহমান

দখলবাণিজ্যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা

প্রকাশিত: ২২:২২, ৪ মার্চ ২০২১

দখলবাণিজ্যে রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা

রাজনীতিবিদরা হচ্ছে জনগণের যোগ্য প্রতিনিধি। জনগণের সুবিধা, অসুবিধা, কল্যাণ দেখাই তাদের দায়িত্ব। ভোটের সময় এরা জনগণের কাছে তাদের নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। কিন্তু নির্বাচনের পর অনেকেই তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে যান। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় ভূঁইফোড় সংগঠন ও নেতাকর্মীর ছড়াছড়ি। তাদের কারণে ইদানীং দেশে রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের ছত্রছায়ায় অপরাধ সংঘটনের উদাহরণ বেড়েই চলেছে। গ্রাম শহর বন্দর সব জায়গাই এদের দৌরাত্ম্য। জমি দখল, ফুটপাথ দখল, মার্কেট ও বিপণি বিতান দখল, পাহাড়, নদী, বন ও জলাশয় দখল, বালু ও পাথর উত্তোলন, ইজারা, টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলদারি ও তদবির বাণিজ্য- সবকিছুতেই রয়েছে রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের দাপট। এমনকি পদ-পদবিধারী অনেকে জড়াচ্ছেন এসব অপকর্মে। আসলে এরা প্রকৃত রাজনীতিবিদ নন। এরা মৌসুমী সুযোগসন্ধানী এবং যখন যে দল ক্ষমতায় আসে তারা ছলে বলে কৌশলে সে দলে নাম লিখিয়ে তাদের দখল বাণিজ্য সিদ্ধ করে। আসলে এরা জনগণের যোগ্য প্রতিনিধি নয়। সরকারী খাস জমি দখলে রাজনৈতিক পরিচয়ধারীদের জুড়ি নেই। দখল করে এরা নামে বেনামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। বাধা দিলে হুমকি ধমকি এমনকি প্রাণনাশের ভয় দেখায়। তারা রাজনৈতিক পেশীশক্তি ও আর্থিকভাবে এতটাই প্রভাব বিস্তার করে যে, থানা আইন আদালত তাদের পেশীশক্তির বলয়ে আবদ্ধ। যদিও ঘটনাক্রমে কিছু কিছু দখলদারির মতো অপকর্ম ফাঁস হয়, তবে জড়িতদের সংগঠন থেকে বড় জোর লোক দেখানো বহিষ্কার করা হয়- অর্থ ও প্রভাবশালী নেতাদের তদবিরে অপরাধীরা অনেক সময় পার পেয়ে যায়। এর অবসান হওয়া দরকার। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করা হলে এসব দখল বাণিজ্যসহ নানা সামাজিক অপরাধ বহুলাংশে কমে যাবে। গেণ্ডারিয়া, ঢাকা থেকে
×