ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক

প্রকাশিত: ২২:১৪, ৪ মার্চ ২০২১

এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ এটিএম শামসুজ্জামান ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। ব্যক্তি হিসেবে তিনি শুধু একজন অভিনেতা নন, প্রতিষ্ঠানও। দেশের চলচ্চিত্র শিল্পকে উচ্চ শিখরে নেয়ার জন্য তিনি একটি ইতিহাস। যে কোন চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তিনি এতটা যত্নবান ছিলেন যে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, সংলাপকার, গল্পকার অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের স্মরণসভায় বক্তারা এ কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মুরাদ হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের অন্যতম উপদেষ্টা লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সিনিয়র সহসভাপতি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী তারিন জাহান, চিত্রনায়ক সাকিল খান, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কণ্ঠশিল্পী এসডি রুবেল, এটিএম শামসুজ্জামানের কন্যা কোয়েল আহমেদ, চিত্রপরিচালক রফিকুল ইসলাম বুলবুল, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম হোসেনসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি কখনও ভাবিনি এভাবে হঠাৎ করেই এটিএম শামসুজ্জামান আমাদের ছেড়ে চিরতরে চলে যাবেন। অসুস্থ হয়ে তিনি অনেকবারই হাসপাতালে গেছেন, আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। এবারই যে তার শেষবার যাওয়া হবে, ভাবতে পারিনি। একজন অভিনেতা হিসেবে বলা যায়, তিনি যে কোন চরিত্রকে এমনভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন; পরিচালকরা পর্যন্ত সেটা আশা করতে পারতেন না। দেশের চলচ্চিত্রকে তিনি অনেক উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। তার অভিনয়ের কারণে ছবি ব্যবসা সফল হয়েছে। কোন ছবিতে তার উপস্থিতি মানে দর্শকমনে অন্য রকম এক উচ্ছ্বাস। তিনি আজীবন বঙ্গবন্ধুর চেতনাকে ধারণ করেছেন। অভিনয়ের পাশাপাশি দুঃসময়ে রাজপথে নেমেছেন। শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও চলে আসতেন। সর্বোপরি একজন ভাল মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যু আমাদের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের জন্য অপুরণীয় ক্ষতি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, কালজয়ী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান শুধু একজন ব্যক্তি নন, প্রতিষ্ঠানও। যে কোন চরিত্রে অভিনয়ের ক্ষেত্রে তার ছিল অসামান্য পারদর্শিতা। সিনেমা বা নাটক যেখানেই হোক না কেন তার সমান দক্ষতা ছিল। মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় বিশ্বাসী মানুষটির মৃত্যু আমাদের জন্য অনেক ক্ষতি। বঙ্গবন্ধু ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তার ছিল গভীর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। সভাপতির বক্তব্যে লায়ন চিত্তরঞ্জন দাস বলেন, এটিএম শামসুজ্জামান আমাদের হাসাতেন, নিজেও হাসতেন। সংস্কৃতির প্রতিটি শাখায় তার ছিল সমান বিচরণ। তার আত্মসম্মান বোধ ছিল প্রগাঢ়। বর্ণময় গুণী ব্যক্তিত্ব এটিএম শামসুজ্জামানের জীবন প্রদীপ নিভে যায় ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ৬ মিনিটে সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে।
×