ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

জুলাই পর্যন্ত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:০০, ৪ মার্চ ২০২১

জুলাই পর্যন্ত ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আবিষ্কৃত হওয়ার পরপরই করোনা টিকার ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, ভ্যাকসিন প্রদানে বিশ্বের বহু দেশ এখনও হিমশিম খাচ্ছে। আর বাংলাদেশে দৈনিক এক লাখের বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। এখন পর্যন্ত দেশের ৪৫ লাখ ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে এবং ইতোমধ্যেই ৩৩ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে। আগামী জুলাই পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্সের ১ কোটি ৯ লাখ ভ্যাকসিনসহ মোট ৪ কোটি ভ্যাকসিন দেশের মানুষের শরীরে প্রদানের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। এ সময় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আবদুল মান্নান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এ বি এম খুরশীদ আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স যে ভ্যাকসিন দেয়ার কথা সেসব যদি ঠিকমতো পাই তাহলে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমাদের হাতে থাকবে। এই ৪ কোটি ডোজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাসে আসবে, এর মধ্যে যদি কোন পরিবর্তন লাগে সেটা করব। সেরাম থেকে ভ্যাকসিন আনার পাশাপাশি অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন যদি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় সেগুলো নিয়েও আলোচনা করব। তিনি বলেন, আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করেছি, যদিও ভারতে ৬০ বা তার উর্ধে লোকদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছে বয়সসীমা কমিয়ে আনার। আমরা সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। তবে আমাদের যে বয়সসীমা দেয়া তাতে ৪ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বেশি ভ্যাকসিন আসে তাহলে বয়সের বিষয় চিন্তা করতে পারব। আমাদের টার্গেট দ্বিতীয় ডোজ যেন হাতে থাকে সেটা চিন্তা করেই কাজ করছি। বেসরকারী পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনা হলে সেটা কিভাবে দেয়া হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার যদি অনুমোদন দেয়। সেক্ষেত্রে কোন কোন কোম্পানি ভ্যাকসিন আনতে পারে সেটা তারা নিজ অর্থে কিনবে আর সেই ভ্যাকসিন যারা নেবেন তাদেরও নিজ অর্থ কিনতে হবে। এখানে সরকারের কোন হাত নেই। তবে যে ভ্যাকসিনই আসুক সেটা ডব্লিউএইচও আমাদের ঔষধ প্রশাসনের অনুমোদন গাইড লাইন মেনে আনতে হবে। ভ্যাকসিন প্রদানে ভবিষ্যতে যাতে কোন রকম সমন্বয়হীনতা দেখা না দেয় সেজন্য প্রতি ১৫ দিন পর পর সচিবালয়ে অন্তত একটি করে ভ্যাকসিন আপডেট সভা করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরবর্তী ধাপে দেশের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট একটি অংশসহ দেশে থাকা বিদেশী নাগরিকদের, বিভিন্ন বন্দরে কর্মরত ব্যক্তিদের, দেশের পাঁচ তারকা হোটেলে কর্মরত ব্যক্তিদেরও ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। আগামীতে আরও ভ্যাকসিন ক্রয় করতে বিশ্বের বিভিন্ন দাতা সংস্থাসমূহ প্রায় সাড়ে ৩ হাজার মিলিয়ন ডলার অর্থ সহায়তা প্রদানে আগ্রহ দেখিয়েছে।
×