ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর স্বার্থ এবং মুশতাকের মৃত্যু

প্রকাশিত: ২১:৩২, ৪ মার্চ ২০২১

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর স্বার্থ এবং মুশতাকের মৃত্যু

আগেও লিখেছি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অর্থাৎ শিক্ষা খাতে এবারের করোনা মহামারীতে কোন প্রণোদনা দেয়া হয়নি। এটা সত্য যে, সরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারী বেতন-ভাতা নিয়মিত পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ক্ষেত্রে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীকে শিক্ষা দিতে নিয়োজিত আছে প্রায় লক্ষাধিক প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োজিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ। এ কথা আগেও লিখেছিলাম। তা ছাড়া সংবাদপত্রেও খবর বেরিয়েছে যে, করোনাকালীন বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরা আয়-উপার্জনহীন হয়ে পড়ে কেউ ফল বিক্রি, কেউ রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ, ছোট দোকান, পান-সিগারেট বিক্রি ইত্যাদি নানা রকম শিক্ষকের জন্য অনেক দূরের নানা কাজ করে চেষ্টা করেছেন পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখতে। ঢাকা ছেড়েছেন এ রকম বেসরকারী স্কুলের শিক্ষক, বেসরকারী সংস্থার চাকরিজীবীরা খুবই আর্থিক কষ্টের মধ্যে আছে। এক স্থাপত্য কাজের ড্রাফটসম্যান তরুণকে একবার কাজে ব্যবহার করেছিলাম। হঠাৎ গত মে মাসের দিকে ওর কথা মনে পড়ল। ছেলেটা তো এখানে-ওখানে কাজ করত। এখন তো বাড়ি নির্মাণ কাজ অন্য সব কাজের মতো বন্ধ। ফোন নম্বরটা খুঁজে পেয়েছি। ফোন করতেই সাড়া পেলাম। গ্রামে চলে গেছে, অল্প জমি, একটি গরুর দুধ বিক্রি করে কোন মতে চলছে। বললাম, আমি কিছু টাকা পাঠালে কেমন হয়। বলল, তবে তো খুব ভাল হয়। ওকে নির্মাণ কাজের সঙ্গে যুক্ত স্থপতি, ইঞ্জিনিয়ারদের খোঁজ বের করে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করতে বললাম। টাকা পাঠালাম। দশ হাজার টাকায় কি হয়। ক’দিন আগে খুবই বিব্রত হয়ে জানাল আরও কিছু টাকা পাঠাতে পারলে ভাল হয়। মাত্র পাঁচ হাজার টাকা পাঠালাম। এখন একবার খবর নেব। জানি, পুরো বিশ্বের মানুষ আয়হীন হয়েছে। ধনী দেশের সরকার সব ব্যক্তির ব্যাংকে একটা নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ পাঠিয়েছে। আমাদের বিপুল জনসংখ্যার দেশে একটি তালিকার ভিত্তিতে আড়াই হাজার টাকা করে ব্যাংক এ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। তবে কত লাখ মানুষ তা পেয়েছে, জানি না। গার্মেন্টস মালিকদের শ্রমিকদের বেতন দেয়ার জন্য বড় অঙ্কের একটি প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এসএমই খাতের জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ দেয়া হয়েছে, যা ব্যাংকগুলো ঠিকমতো এখনও পৌঁছায়নি। টিকা কিনতেও সরকার অনেক টাকা ব্যয় করেছে। কিন্তু কথা হলো- শিক্ষা খাতটির সব পর্যায়ের সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে প্রায় এক বছর। প্রশ্ন উঠেছে-সর্বপ্রথম করোনার উচ্চ সংক্রমণের মধ্যে গার্মেন্টস কারখানাগুলো খুলে দেয়া হয়েছে অর্থনীতি রক্ষার তাগিদে। কারখানায় হাজার হাজার শ্রমিক এক সঙ্গে পাশাপাশি, সামনে-পেছনে বসে সেলাই মেশিনে কাজ করেছে, এখনও করছে। দেখা গেল, ওদের কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি। এরপর দোকানপাট খুলে দেয়া হলো। হাট-বাজার সব সময় খোলা ছিল। বস্তিতে করোনা মহামারী হয়ে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হবে বলে মনে করা হলেও তা একেবারেই হয়নি। আমার গৃহকর্মী দু’জনই এক দিনও কাজ বাদ দেয়নি। পরিচিত সবাই যখন গৃহকর্মী বাদ দিয়ে নিজেরা গলদঘর্ম হয়ে সংসারের কাজকর্ম করছেন, তারা রেগেমেগে আমাকে গৃহকর্মী বাদ দিচ্ছি না কেন, প্রশ্ন করেছে। উত্তরে হেসে বলেছি, আগেই বাদ দেব কেন, জ্বর, গলাব্যথা হোক, তখন ওকে বলা আছে, তারা তখন আসবে না। আত্মীয়রা রান্না-কাটাকুটা, কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা করে হয়রান আর আমি মহা আরামে লেখা লিখছি, বই পড়ছি। যাক, কথাটা ওঠালাম এ জন্য যে, লঞ্চে, নৌকায়, কারখানায়, বস্তিতে, শপিং মলে, দোকানে- সর্বত্র ভিড়। করোনা যার হওয়ার তার হচ্ছে, অন্যরা এ নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে না। তা হলে শুধু স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার যৌক্তিকতা থাকে কি? এই ছেলেমেয়েদের আমি নিউমার্কেট, গাউসিয়া, বসুন্ধরা সিটি, হকার্স-মার্কেট, গুলিস্তান, বঙ্গবাজার- কোথায় না দেখছি। সর্বত্র ওরা মানে, সব বয়সী শিক্ষার্থীরা-ঘোরাফেরা করছে। এর অর্থ অবশ্য আমিও এসব জায়গায় ঘোরাফেরা করছি। কোথায় কি বিক্রি হচ্ছে, দেখে দেখে মাঝারি দামের কাপড় চোপড়, জিনিসপত্র কিনে অন্যদের উপহার দিচ্ছি। তবে এখন সত্যিই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার জন্য হাই টাইম চলে এসেছে। শিশুরা যদি কোচিংয়ে যায়, তাহলে তাদের শিক্ষা কিছুটা হয়েছে। আর যদি কোচিংয়ে না যায় তাহলে যা শিখেছিল তা ভুলে গেছে। আমার মনে হয়- চালু পরীক্ষাগুলো হঠাৎ বন্ধ করা হলো, যা অযৌক্তিক এবং অন্যায়। আমি নিজেই তো অনেক ছেলেমেয়ে বিএ পরীক্ষা শেষ করবে, এমএ পরীক্ষা শেষ করবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কখন দেবে- এ আশায় ছিলাম, আছি। আমার আশা, ওই ছেলেমেয়ে বিএ, এমএ পাস করে কিছু একটা কাজে দ্রুত ঢুকবে। স্কুল খুললে অন্তত টিউশনিগুলো করে ছাত্রছাত্রীরা চলতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে পাস করে একদল বিএ, অনার্স পড়া শুরু করবে। অপর দল কলেজে, কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হবে। অনেকেই বিসিএস পরীক্ষা দেবে। ব্যাংকসহ অন্যান্য সংস্থায় চাকরির পরীক্ষা দিয়ে কাজে প্রবেশ করবে এবং পরিবারের ব্যয় মেটাতে সক্ষম হবে। আমরা অনার্স দ্বিতীয় বর্ষ থেকে চাকরি খুঁজতে বেরিয়েছিলাম, বাবার ওপর চাপ কমাবো এমন আশা নিয়ে! যদিও কেবল ‘রিসেপশনিস’-এর চাকরি আমাকে অফার করা হলো। যার কাজকর্ম সম্পর্কে ওই যুগে অজ্ঞ থাকলেও কাজ গ্রহণে সম্মত হইনি! তা ছাড়া বন্ধুরাও তো চাকরি পায়নি। এক যাত্রায় পৃথক ফল নেব না, তা নিশ্চিত। কিন্তু আমার জানা এখনকার অধিকাংশ ছেলেমেয়ে টিউশনি করে ওদের উচ্চশিক্ষার ব্যয় মেটায়। অনেকে বাড়ির খরচও পাঠায়। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতি কখনই যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের মতো হয়নি। এখনও নিয়ন্ত্রণেই আছে। আর দেরি না করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া উচিত এবং শ্রমিকরা যদি একটি বড় হলরুমে শতাধিক ব্যক্তি একসঙ্গে কাজ করতে পারে, আমাদের ছাত্রছাত্রীরাও তাই করবে। কোন অভিভাবক ছেলেমেয়েদের পাঠাতে না চাইলে পাঠাবেন না। তাদের স্কুলের পাঠ গ্রহণ করতে হবে অভিভাবকদের দায়িত্বে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত এ্যাসাইনমেন্ট দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীরা সেগুলো নির্দিষ্ট দিনে জমা দেবে। একটা বিষয় স্মরণ রাখতে হবে- এ্যাসাইনমেন্ট নানা বই, গাইড বই পড়ে শিক্ষার্থীরা লিখবে বা তৈরি করবে, যাতে তাদের সৃজনশীলতা এবং কল্পনা শক্তিকে ব্যবহার করতে পারে। এ ছাড়াও বলতে চাই- এত দীর্ঘ মহামারীর ছুটির পর রোজার মাসে অবশ্যই সব রকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে পিছিয়ে পড়া শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে। এবার ঈদে একদিন ছুটি থাকলেও শিক্ষার্থীরা অখুশি হবে না। ওরা ওদের পড়ার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরিশ্রম করতে রাজি থাকবে বলেই মনে করি। এবার মুশতাক আহমদের মৃত্যু প্রসঙ্গ। মুশতাক বা কিশোর বা কাজল- এরা ব্লগে কি কি রাষ্ট্রদোহমূলক মন্তব্য লিখেছে, তা আমি জানি না। তাদের মন্তব্যগুলো ধরে নিলাম হয়ত রাষ্ট্রদ্রোহমূলক। এখন আমাদের মনে এমন প্রশ্নের উদয় হচ্ছে- কেউ রাষ্ট্রদ্রোহমূলক সরকারবিরোধী কোন মন্তব্য লিখলে তাতে মন্তব্যকারীকে বিচারের মুখোমুখি করতে গিয়ে কি ৮-১০ মাস বা বছর জামিন না দিয়ে জেলে রাখা উচিত? দীর্ঘ জেলবাসের ফলে তাদের ওজন অর্ধেক হয়েছে, কাপড় ঢিলা হয়ে গেছে। কিশোর তো বলেছে তাকে দৈহিক নির্যাতন করা হয়েছে, যে জন্য তার হাঁটা-চলা স্বাভাবিক নেই! প্রথমত আমার কথা হলো, যেখানে খুনী, দুর্বৃত্ত, লুটেরা, ঋণ খেলাপী ব্যক্তিরা ২-৩ মাসেই জামিনে বের হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত মন্তব্য লেখার জন্য দশ মাস-এক বছর বিনা বিচারে জেলে থাকবে কেন? কেন তাদের দ্রুত নিয়মানুযায়ী জামিন দেয়া হলো না? একবার আমাদের বাবার বাড়ির ডেভেলপার হয়ে এক ব্যক্তি কোটি টাকার বেশি নিয়ে পলাতক হলে আমি শফিক আহমদ ভাইয়ের সাহায্য নিয়েছিলাম তাকে আটক করার জন্য। আটক হয়ে সে আমাদের এক টাকা দিতেও রাজি না হয়ে জেল খাটবে জানায়। শফিক ভাই বললেন- তিন মাস পর্যন্ত তাকে আটকে রাখা যাবে, এরপর জামিন দেয়ার নিয়ম আছে, সে বেরিয়ে যাবে। সত্যই সে বেরিয়ে লন্ডন না কোথায় চলে গিয়েছিল। পরে অন্য এক ডেভেলপার অসমাপ্ত বাড়িটি অর্থমূল্য কমিয়ে গ্রহণ করেছিল। তাই যদি হয়, তাহলে একজন ব্লগার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য লিখে বিচারের মুখোমুখি হবে জামিন লাভের পর। এখন ডিজিটাল আইনে যদি জামিনের ব্যবস্থা না থাকে তাহলে অবশ্যই সেটির ব্যবস্থা রাখতে হবে। ব্যক্তিগত বক্তব্য, মন্তব্যের ক্ষতির প্রভাবের পরিণতি বিবেচনা করে তার বিচার করতে হবে। যেমন- কট্টর মাওলানাদের জেহাদী ঘৃণা প্রচারকারী মন্তব্যের জন্য জামিন অযোগ্য জেল ও বিচার হবে। কিন্তু তির্যক মন্তব্য, রসিকতামূলক ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের বেলায় দ্রুত জামিন প্রদানের ব্যবস্থা থাকতে হবে। তারপর তারা বিচারের মুখোমুখি হোক, তাদের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিক, বিচারক সামগ্রিক বিষয়টির বিচার করে রায় দেবেন। এখন দেশ যখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হচ্ছে, তখন মানবাধিকার, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকারকে আরও উন্নত মানে পৌঁছাতে হবে। মত প্রকাশের অধিকার মানে যা খুশি বলার অধিকার নয়-এ কথা মাথায় রেখে ডিজিটাল আইনটিকে আরও মানবিক ও সংবেদনশীল করে তুলতে হবে। জেলে দীর্ঘদিন আটক ব্যক্তির মনের চাপ থেকে দেহের বৈকল্য সৃষ্টি হতেই পারে। এমনও হতে পারে, মুশতাক যদি এক মাস পর জামিনে বেরিয়ে আসতেন, তাহলে হয়ত তার মন ও দেহের ওপর এতটা চাপ তৈরি হতো না। হয়ত চিকিৎসা নিত, হাই প্রেশার, হাই কোলেস্টেরলের ওষুধ ব্যবহার করে তার দৈহিক সমস্যার মোকাবেলা করত। জানি না, যে কোন মৃত্যু বেদনার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে অন্য দেশের আইনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এর সংস্কার ঘটানোর সুযোগ আছে বলে মনে করি। কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ৩০ মার্চ স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটা ১৫ মার্চ হতে পারত। যা হোক, শিক্ষা কার্যক্রম এক বছরের মতো বন্ধ থেকেছে। এখন পড়াশোনা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রম, বিজ্ঞান চর্চা-সবই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হোক। একটি বিষয় খেয়াল করতে হবে-যদি আমরা আলজাজিরার প্রতিবেদনকে উড়িয়ে দিতে পারি, গায়ে না মাখি, প্রতিবাদ না জানাই, তা হলে ফেসবুক বা সামাজিক মাধ্যমে প্রদত্ত মন্তব্যগুলো, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে চিত্র আঁকা-লেখাকেও উড়িয়ে দিতে পারি। সেই লেখক-চিত্রশিল্পীকে কেন গ্রেফতার করে মাসের পর মাস খুনী-লুটেরাদের চাইতেও বেশি সময় যাবত জামিন না দিয়ে কারান্তরালে রাখা হবে? এ দুটো অবস্থান পরস্পরবিরোধী হয় নাকি? এসব মন্তব্যের জবাব দিলে জবাব দেবে সরকার পক্ষ। কিন্তু আলজাজিরার প্রতিবেদনকে গায়ে না মাখলে ব্যক্তি মানুষের অন্যান্য মন্তব্য রসিকতাও সইতে হবে। গুজব হলে অবশ্যই আওয়ামী লীগের গবেষণা কেন্দ্রকে এসব খণ্ডন করে উত্তরে সঠিক তথ্য জানাতে হবে। আশা করি, শীঘ্রই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে আরও মানবিক করা হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাকেও উন্নয়নশীল দেশের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির ব্যবস্থা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আসলে শিক্ষাই জাতির সার্বিক দক্ষতা প্রদান করে এবং শিক্ষা গ্রহীতাকে মানবিক গুণাবলী অর্জনে সাহায্য করে। শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় কখনও তার যথার্থ মূল্যায়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছে। এখন সময় এসেছে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। নতুবা উন্নয়নশীল দেশের অবস্থান ধরে রাখা কষ্টসাধ্য হবে। লেখক : শিক্ষাবিদ
×