ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

প্রকাশিত: ১৭:২৪, ৩ মার্চ ২০২১

শেয়ারবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার মূল্য সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমার কারষে বুধবার ডিএসইতে লেনদেনও কমেছে। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) একইভাবে লেনদেন শেষ হয়েছে। অধিকাংশ ব্যাংকের দর বাড়লেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফের পতনের ধারায় চলে এসেছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের দিনের ধারাবাহিকতায় সকালে সূচকের উর্ধগতি দিয়ে লেনদেন শুরু হয়। কিন্তু তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর শুরুর দরবৃদ্ধি শেষ পর্যন্ত আর টেকেনি। লভ্যাংশ ঘোষণা সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা স্থগিত করা হবে এমন আশাবাদ মঙ্গলবার ছড়িয়ে পড়ায় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়লেও বুধবারে তা বেশিক্ষণ থাকেনি। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার কারণেই মূলত খাতটি দর হারাতে থাকে। সেইসঙ্গে সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা বে´িমকোর উত্তোলনের খবরেও ইতিবাচক দেখা যায়নি কোম্পানিটির। এছাড়া লঙ্কাবাংলা ফাইনান্স, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, বে´িমকো ফার্মা, সামিট পাওয়ারের মতো বড় মূলধনী কোম্পানির দর কমেছে দিনটিতে। যা দিনশেষে সূচকে বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বুধবার ডিএসইতে টাকার পরিমাণে ৭৭৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। ডিএসইতে আগের দিন থেকে ৫৮ কোটি ১০ লাখ টাকা কম লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবারে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৮৩৩ কোটি ৯৪ লাখ টাকার। সকালটা ইতিবাচক থাকলেও দিনভর ডিএসইতে সূচকের উঠানামা চলতে থাকে। বিনিয়োগকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ২০ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৮৮ পয়েন্টে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমেছে। বুধবার ডিএসইতে মোট ৩৫৬টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩১টির, দর কমেছে ১২৬টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯৯টি কোম্পানির। তবে দীর্ঘদিন পরে বিমা খাতের প্রায় সব কোম্পানির দর বেড়েছে দিনটিতে। ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে ছিল বিবিধ খাতের কোম্পানি। সারাদিনে কোম্পানিটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১৬৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ২১ দশমিক ৯৩ ভাগ। এরপরেই রয়েছে ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১০০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে ছিল টেলিযোগাযোগ খাতটি। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৭৯ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৪৪ ভাগ। অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই কমেছে ৬৮ পয়েন্ট। সূচকটি ১৫ হাজার ৯২৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩২ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার। সিএসইতে মোট ২৪০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, দর কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে
×