ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ৩ মার্চ ২০২১

নওগাঁয় হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী কুপিবাতি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ॥ বিদ্যুৎ মানুষের এক অনন্য আবিষ্কার। আর এই বিজলীর আলো অর্থ্যাৎ বিদ্যুতের অলোতে হারিয়ে গেছে গ্রাম বাংলার কুপিবাতি ও চুঙ্গা শিল্প। আঞ্চলিক ভাষায় এটি কুপিবাতি নামে বেশি পরিচিত। এক সময় কেরোসিনের হাতবাতি বা কুপিবাতি ছিল রাতের আঁধার নিবারণের একমাত্র অবলম্বন। আর এ বাতিতে কেরোসিন ভরানোর জন্য চুঙ্গা ছিল একমাত্র উপাদান। প্রযুক্তি ও আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমানে গ্রামে লেগেছে শহরের ছোঁয়া। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার প্রায় সব বাড়িতেই পৌছে গেছে বিদ্যুৎ। রাতে গ্রামের রাস্তার পাশে জ্বলছে লাম্পপোস্ট। প্রত্যন্ত গ্রামও আজ উন্নয়নের আওতায় চলে এসেছে। প্রায় প্রতিটি গ্রামেই পাকা রাস্তারসহ বিদ্যুতায়িত করা হয়েছে। এক সময় কুপি বাতির এই শিল্প ছিল লাভজনক। বাতি ও চুঙ্গা তৈরী করে অনেক পরিবার জীবিকা নির্বাহ করতো। টিন, কাঁচ ও মাটি এই তিন উপাদান দিয়েই তৈরি করা যায় হাতবাতি। কাঁচের বাতি গুলোর দাম ছিল ৪০/৫০ টাকা, টিনের বাতিগুলোর দাম ছিল ২০/৩০ টাকা আর মাটির বাতিগুলোর দাম ছিলো ৫/১৫ টাকা। জেলার বিভিন্ন বাড়িতে তৈরি হতো এই শিল্প। এ জেলার হাত বাতি একসময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাইকাররা এসে নিয়ে যেতো। আর এ শিল্প এখন নেই বললেই চলে।
×