ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মূলধন সংকটে ১০ ব্যাংক

প্রকাশিত: ২০:০৮, ২ মার্চ ২০২১

মূলধন সংকটে ১০ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মহামারিতে বিশেষ সুবিধা এবং নানা ছাড়ের কারণে কাগজে-কলমে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে। তারপরও মূলধন সংরক্ষণ পরিস্থিতির তেমন উন্নতি করতে পারেনি বেশ কিছু ব্যাংক। ডিসেম্বর শেষে দেশের সরকারি-বেসরকারি ১০টি ব্যাংক ন্যূনতম মূলধন সংরক্ষণ করতে পারেনি। ফলে মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে এসব ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত নিয়ে ঋণ দেয়। সেই ঋণ খারাপ হয়ে পড়লে সেই অনুপাতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। আবার খারাপ ঋণের ওপর অতিরিক্ত মূলধন রাখার বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং রীতি ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত মূলধন সংরক্ষণ করতে হয়। বর্তমান নিয়মে ব্যাংকগুলোকে ৪০০ কোটি টাকা অথবা ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ১০ শতাংশের মধ্যে যা বেশি সেই পরিমাণ অর্থ ন্যূনতম মূলধন হিসেবে সংরক্ষণ করতে হয়। এ শর্ত পূরণে ডিসেম্বর শেষে ব্যর্থ হয়েছে ১০টি ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে মূলধন সংকটে পড়া ব্যাংকগুলো হলো রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বেসরকারি খাতের এবি ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক। এছাড়া বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংক এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। সব মিলিয়ে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দুই বিশেষায়িত ব্যাংকসহ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ৭ ব্যাংকের ঘাটতি ২৫ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, খেলাপি ঋণসহ নানা কারণে ব্যাংক খাত ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখছেন। এতে করে দেশি ও বৈদেশিক বিনিয়োগের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত যত দ্রুত সম্ভব এ সংকট উত্তরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
×