ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কলাপাড়ায় আগাম তরমুজ চাষে কৃষকের বাম্পার ফলন

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ২ মার্চ ২০২১

কলাপাড়ায় আগাম তরমুজ চাষে কৃষকের বাম্পার ফলন

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, পটুয়াখালী ॥ কলাপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষক আগাম তরমুজ চাষে বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আর ক্ষেত থেকে পাকা তরমুজ কেটে বিক্রি করছেন কৃষক। কলাপাড়ার কুয়াকাটা, মহিপুর, ধানখালীতে এসব দৃশ্য দেখা গেছে। রসালো এই তরমুজ কেনার জন্য পাইকাররাও ইতোমধ্যে আসতে শুরু করেছে। কেউ কেউ তরমুজের ক্ষেত আগাম বিক্রি করে দিচ্ছেন। কৃষকরা রমরমা বাণিজ্য করছেন তরমুজ আবাদের মধ্য দিয়ে। যেন করোনার ধকল কাটিয়ে উঠছেন। উপজেলার লতাচাপলি ইউনিয়নের নয়াপাড়ায় বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে তরমুজের ক্ষেত। কেউ তরমুজ কাটছেন। কেউ স্তুপ করছেন। কেউ ট্রলি-ট্রাকে তোলার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এসব তরমুজ পাইকাররা দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় নিয়ে যাবেন। কৃষক মনির হাওলাদার জানান, সাড়ে তিন মাস আগে প্রায় ১৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করেন। এখন ক্ষেতে বাম্পার ফলন হয়েছে। নিয়মিত সার দেয়া, পরিচর্যার পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। পরামর্শ নিয়েছি। এখন সফল হয়েছি। টোটাল ক্ষেতটি তিনি প্রায় ১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তুলাতলীর কৃষক রাজ্জাক মুসল্লী জানান, গেল বছর করোনায় তার অনেক টাকার লোকসান হয়েছে। এবারে আগাম বিক্রি করে তিন লাখ টাকা লাভ করেছেন এই চাষী। কৃষকরা জানান, এক হেক্টর (২দশমিক ৪৭ একর) জমিতে তরমুজ চাষে খরচ হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকা। সবকিছু ঠিক থাকলে; বিশেষ করে প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে হেক্টর জমিতে গড়ে দেড় লাখ টাকা লাভ করা সম্ভব। ধান চাষের চেয়ে কয়েকগুন বেশি লাভ তরমুজের আবাদে। তরমুজের পাইকার আবুল কালাম জানান, গেল বছর করোনায় তরমুজ বাজারে বিক্রি করতে পারেননি। এবারে বাজার ভালো। ফলনও ভালো হয়েছে। কলাপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মন্নান জানান, উপজেলায় এবছর তিন হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। চাষীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ দিয়ে আসছেন। এবারে বাম্পার ফলন হয়েছে এখানে। কৃষকরা রয়েছেন প্রাণবন্ত আয়েশে। খোশ মেজাজে। আগাম তরমুজ আবাদের মধ্য দিয়ে কৃষক গেল বছরের করোনার ধকল অনেকটা কাটিয়ে উঠছেন।
×