ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পাগলাবাজার-করেরগাঁও সড়কের বেহাল দশা

প্রকাশিত: ১২:৫৪, ২ মার্চ ২০২১

পাগলাবাজার-করেরগাঁও সড়কের বেহাল দশা

নিজস্ব সংবাদদাতা, সুনামগঞ্জ ॥ দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার পাগলাবাজার থেকে করেরগাঁও পর্যন্ত প্রায় পনেরো কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা। কাগজে-কলমে পনেরো কিলোমিটার হলেও দৃশ্যমান সড়ক সর্বোচ্চ সাত কিলোমিটার। অর্ধেকেরও বেশী সম্পূর্ণভাবে চলাচলের অনুপযোগী। পাগলা বাজার থেকে বীরগাঁও-এর খালপাড় পর্যন্ত সড়কে চলাচল করছে যানবাহন। বাকি পথ নামকাওয়াস্তে। আগে খালপাড় ব্রিজ পর্যন্ত যানবাহন চললেও এখন আর ব্রিজের ধারে কাছেও যায় না যাত্রীবাহী যানবাহন। থামতে হয় খালপাড় জামে মসজিদের উত্তরে ওয়াসিম এর চায়ের দোকানের সামনে। বাকী পথ পায়ে হেঁটে অতিক্রম করছেন পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের প্রায় সকল গ্রাম ও পশ্চিম বীরগাঁও ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের বিশ হাজারেরও বেশি মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে। যদি কোনো বিশেষ কারণে (রোগী/বর-কনে নিয়ে) চালক বীরগাঁও বাজার, পশ্চিমপাড়া পয়েন্ট কিংবা ইউনিয়নের ভিতরে কোনো গ্রামে গাড়ি দিয়ে যেতে চান তাহলে চরম বেগ পোহাতে হয় তাদের। পাড়ি দিতে হয় ধুলার সাগর। গ্রামের ভিতরের রাস্তার চেয়ে এখন বীরগাঁওবাসীর বড় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পাগলা-বীরগাঁও খালপাড় পর্যন্ত মূল সড়ক। এই সড়কের ন্যূনতম ১৫টি স্থানে ১ কিলোমিটারেরও বেশি জায়গায় রাস্তা একবারে বেহাল। এলাকাবাসীর দাবি পাগলা-বীরগাঁও সড়কটি যেনো দ্রুত সংস্কার করে চলাচল উপযোগী হয়। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারে সুনামগঞ্জ ৩ আসনের সংসদ সদস্য, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের দ্রুত হস্থক্ষেপ কামনা করেছেন ইউনিয়নবাসী। সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের খালপাড়ের ব্রিজের গোড়ার অংশের মাটি একেবারেই নেই। একটি সিএনজি অটোরিক্সা ভালোভাবে চলাচল করা তো দূরে থাক, রাস্তার এই অংশে একটি মোটরসাইকেলও চলতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। বর্ষায় পাখি মারা হাওরের ঢেউয়ের কারণে রাস্তা ভেঙ্গে এমন বেহাল দশা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী আল-নূর তারেক বলেন, পাগলা-বীরগাঁও সড়ক আমরা দেখেছি। এ সড়ক নিয়ে একটা চাহিদা আমরা ইতোমধ্যে পাঠিয়েছি আমাদের ঢাকার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। আশা করছি খুব দ্রুত এ কাজের অনুমোদন আমরা পেয়ে যাবো। সুনামগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম বলেন, পাগলা-বীরগাঁও রাস্তার কথা আমাদের জানা আছে। ইতোমধ্যে এ রাস্তা নিয়ে একটা প্রজেক্ট রেডি করে অনুমোদনের জন্য ঢাকায় পাঠিয়েছি। ঢাকার লোকজন এসে দেখেও গেছেন। আশা করছি আগামী দু’এক সপ্তাহের মধ্যে অনুমোদনও পেয়ে যাবো। অনুমোদন পেয়ে গেলে দরপত্র আহ্বানসহ অন্যান্য কাজে যে সময় লাগে এর বেশি সময় লাগবে না। আশা করছি আগামী জুন মান মাসের মধ্যে কাজ শুরু করা যাবে।
×