ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমি নোংরা শিক্ষক রাজনীতির শিকার ॥ সামিয়া রহমান

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২ মার্চ ২০২১

আমি নোংরা শিক্ষক রাজনীতির শিকার ॥ সামিয়া রহমান

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে পদাবনতি পাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমান বলেছেন, যে লেখার কারণে আমাকে শাস্তি পেতে হলো সেটা আমার লেখাই নয়। আমি শুধু আইডিয়া দিয়েছিলাম মারজানকে। আমাকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। আমি নোংরা শিক্ষক রাজনীতির শিকার। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সামিয়া রহমান বলেন, ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন ফরিদউদ্দীন স্যার আমাকে ফোনে জানান, তোমার যে লেখাটি ছাপা হয়েছে, এ লেখায় তুমি প্লেজারিজম করেছ, এমন অভিযোগ করেছেন তোমার বিভাগের দুজন শিক্ষক। তারা তোমার শাস্তি চান। তখনই আমি ফরিদ স্যারের কাছে জানতে চাই, কোন লেখাটি। তখন তিনি তার অফিসে আমাকে ডেকে লেখা ও অভিযোগের বিষয়টি জানান। মারজান অসম্পূর্ণ একটি লেখা আমাকে না জানিয়ে ডিন অফিসে জমা দেয়। লেখা ছাপা হওয়ার পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যেহেতু আমি জড়িত ছিলাম না, তাই দেরি না করে সেটা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানাই ডিন স্যারকে। আমি ওই সময় লেখা প্রত্যাহারের আবেদন করি, সেই স্বাক্ষরযুক্ত চিঠিও আছে আমার কাছে। তিনি বলেন, লেখাটি প্রত্যাহারের বিষয়ে তৎকালীন উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক স্যারকে অবহিত করলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি সিন্ডিকেটে বিষয়টি তুলতে বলেন। কিন্তু ড. ফরিদউদ্দীন বিষয়টি জিইয়ে রাখেন সময় ও সুযোগের জন্য। সাত মাস ধামাচাপা দিয়ে রাখার পর ২০১৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আরেফিন স্যার উপাচার্যের চেয়ার থেকে সরে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ওই ভুয়া চিঠিটি তৈরি করা হয় শিকাগো জার্নালের নামে, এ্যালেক্স মার্টিনের পরিচয় দিয়ে। যেখানে এ্যালেক্স মার্টিন বলে কারও অস্তিত্ব নেই এবং চিঠিটিও শিকাগো জার্নাল থেকে পাঠানো হয়নি।
×