ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী

মুশতাকের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে

প্রকাশিত: ২৩:০৪, ২ মার্চ ২০২১

মুশতাকের কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কারাগারে মৃত্যুবরণ করা লেখক মুশতাক আহমেদ কোন ধরনের ড্রাগ (ওষুধ) ব্যবহার করতেন কিনা এবং কীভাবে তার মৃত্যু হলো তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র অনুদাননির্ভর হয়ে চলতে পারে না। সোমবার দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে ব্যাংকঋণ চালুর প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির ধন্যবাদ জ্ঞাপন ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কারাসূত্র বলছে, মুশতাক এক ধরনের ড্রাগ ব্যবহার করতেন, এটার কোন প্রভাব তার মৃত্যুর ক্ষেত্রে পড়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মুশতাকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে সেটাতো আমি জানি না, এর জন্য একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে বেরিয়ে আসবে উনি কোন ড্রাগ ব্যবহার করতেন কিনা, ওনার কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, হার্ট এ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে কিনা, কিংবা কারা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল কিনা সেটি তদন্তে বেরিয়ে আসবে। তবে এ মৃত্যুর জন্য আমি নিজেও ব্যথিত। এটা অবশ্যই অনভিপ্রেত। তদন্ত কমিটি হয়েছে, কমিটির মাধ্যমে সব বেরিয়ে আসবে নিশ্চয়ই। ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট বিষয়ে বিভিন্ন দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর সব দেশে এ ধরনের আইন হয়েছে কিংবা হচ্ছে। উন্নত দেশগুলোতেও এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে গ্রেফতার করা হয় এবং শাস্তির বিধান করা হয়। তবে অবশ্যই এই আইনের যাতে কোন অপব্যবহার না হয় সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রেসক্লাবে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ছাত্রদল পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। হাজার হাজার ইট-পাথরের টুকরা তারা পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করেছে। প্রেসক্লাবে আমি নিয়মিত যাই, সেখানে তো কোন পাথরের স্তূপ নেই, তার মানে এগুলো আগে থেকে সংগ্রহ করে রাখা হয়েছিল। পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ঘটনা হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সাংবাদিকদের বা প্রেসক্লাবের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি আশা করব যারা প্রেসক্লাবকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে, ছাত্রদলসহ যারা প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটায়, তাদের অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা প্রেসক্লাবকে ব্যবহার করে ঘটানো উচিত না। তিনি বলেন, প্রেসক্লাব একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান, প্রেসক্লাব নিরপেক্ষ জাতীয় প্রতিষ্ঠান। সব রাজনৈতিক দল, মত ও পথের জন্য এটি উন্মুক্ত। সুতরাং সেখান থেকে যদি পুলিশের ওপর হামলা হয়, লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করা হয় সেটা খুবই অনভিপ্রেত। ছাত্রদল যেটি চেয়েছে, দেশে একটি ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করেছে। চলচ্চিত্র অনুদাননির্ভর হয়ে চলতে পারে না ॥ চলচ্চিত্র অনুদাননির্ভর হয়ে চলতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, আমরা কিছু অনুদান দিই ভাল কিছু ছবি নির্মাণের জন্য। আগে অনুদানের টাকা দিয়ে ‘আর্টফিল্ম’ হতো এখন বাণিজ্যিক ছবি হচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু শর্তও দেয়া হয়েছে। যেমন- যারা অনুদান দিয়ে সিনেমা বানাবে তাদের কমপক্ষে ১০টি হলে মুক্তি দিতে হবে। সেখানেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সিনেমা হল বন্ধের পেছনে অর্থই কি মূল কারণ না অন্য কোন কারণ রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমতো সিনেমা হল বন্ধের বহুবিদ কারণ রয়েছে। সিনেমা হল শুধু বাংলাদেশে বন্ধ হয়েছে তা কিন্তু নয়। সিনেমার তীর্থস্থান বোম্বে সিটিতেও অনেক বন্ধ হয়ে গেছে ৫ সাত বছরে। কলকাতা শহরেও অনেক বন্ধ হয়ে গেছে আবার নতুন সিনেপ্লেক্স হবে। সিনেমা হল বন্ধ হওয়ার পেছনে সিনেমার মান, মানুষের রুচির পরিবর্তন, অনলাইনে দেখতে পায় সেটাও একটা কারণ। ক্ষতিগ্রস্তরা প্রণোদনা পাচ্ছে না এ খাতে সে রকম কিছু হবে কিনা জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, অন্যান্য প্রণোদনার সঙ্গে এটাকে মেলানো ঠিক হবে না। কারণ এখানে ভোক্তা লিমিটেড। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক এটাকে নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কারা পাবে। সুতরাং এ ঋণ নিয়ে অন্য ব্যবসা করবে সেটা সম্ভব না।
×