ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে

প্রকাশিত: ২৩:০২, ২ মার্চ ২০২১

প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত রবিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু ইটপাটকেল নিক্ষেপের কারণে পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে কয়েক পুলিশ বাধ্য হয়ে ভেতরে ঢুকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। কাঁদানে গ্যাসও ছুড়তে হয় পুলিশকে। তবে পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেসক্লাব চত্বরের ভেতরে ঢোকেনি। তবে প্রেসক্লাবের ভেতরে যেন বহিরাগত ব্যক্তিরা ঢুকতে না পারে, এজন্য প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি। আর পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, সমাজে একটি ছোট শ্রেণী আছে, যাদের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। তারা দেশ, জাতি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই সমালোচনা করে। তারা দেশের উন্নয়ন দেখতে পান না। সমালোচনার ধারাবাহিকতায় তারা পুলিশেরও কড়া সমালোচনা করেন। এমন সমালোচকদের মুখে ছাই পড়ুক। সোমবার পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এমপি আরও বলেন, ওইদিন পরিস্থিতির কারণে পুলিশকে প্রেসক্লাবে ঢুকতে হয়েছে। তবে পুলিশ সাধারণত প্রেসক্লাবে ঢুকে না। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে পুলিশ প্রেসক্লাবে ঢুকলেও প্রেসক্লাবের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি। একই অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ ওই বিষয়েই বলেন, দেশের মধ্যে একটা ছোট অংশ আছে, যাদের দেশের ভাল কোন কিছুর প্রতি আগ্রহ নেই। তাদের কাজই হচ্ছে সমালোচনা করা। তারা সবকিছুকেই সমালোচনার দৃষ্টিতে দেখেন। দেশের হেন কোন বিষয় নেই, যে বিষয়ে তারা সমালোচনা করেন না। এই সমালোচকদের মুখে ছাই পড়ুক। তিনি আরও বলেন, পুলিশকে কেন প্রতিপক্ষ বানানো হয়? এই প্রশ্ন বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় মানুষের প্রতি। পুলিশ তো কারও প্রতিপক্ষ নয়। দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে, বনশত্রুদের বিরুদ্ধে ও রাষ্ট্রকে নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পুলিশ যুদ্ধ করে। এই যুদ্ধ ক্রমাগত, অবিরত ও অবিরাম। যুদ্ধ হলেই অবিরামভাবে আসে মৃত্যু। সে কারণে প্রতিবছর আমাদের ডজন ডজন সহকর্মীকে হারাতে হয়। পুলিশে এই মৃত্যুর মিছিল, শাহাদতবরণকারীদের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। আমরা আর কোন মৃত্যু দেখতে চাই না। আমাদের পরিবারও মুত্যু দেখতে চায় না। আইজিপি বলেন, করোনার সময় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৫ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে। প্রায় ২১ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারা সুস্থ হয়ে আবার দায়িত্ব পালন করছেন। যেকোন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ পুলিশ সম্মুখসারিতে থেকে দায়িত্ব পালন করে। পুলিশ তাদের দক্ষতা ও দৃঢ়তার যে সাক্ষ্য দিয়েছে তা দিয়ে তারা জনগণের হৃদয়ে বিশেষ স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।
×