ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

টার্গেট করে ধনী পরিবারের শিশুদের অপহরণ করতেন তারা

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ১ মার্চ ২০২১

টার্গেট করে ধনী পরিবারের শিশুদের অপহরণ করতেন তারা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ওরা টার্গেট করে ধনী পরিবারের শিশুদের অপহরন করতো। টাকা না দিলে অপহৃত শিশুদের গুম করে ফেলতো। এরকমভাবে ঢাকার আশুলিয়া এলাকা থেকে আলী হোসেন নামে ছয় বছরের এক শিশুকে অপহরণ করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা। অপহরণের পাঁচ দিন পর রবিবার রাতে র‌্যাব-৭ এর সহায়তায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সেকেন্দার কলোনি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও অপহরণ চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। গ্রেফতাররা হচ্ছে, মোঃ জাকির হোসেন (২১) ও শান্ত মিয়া (২৯)। সোমবার রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাব-৪ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক এসব কথা বলেন। র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) জানান, গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকার আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকা থেকে ছয় বছরের শিশু মোঃ আলী হোসেন অপহৃত হয়। পরে অপহৃত শিশুটিকে রাজধানীর বাইপাইল ও সায়েদাবাদ হয়ে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ঘটনার পরদিন অপহরণকারী চক্র মোবাইল ফোনে শিশুটির পিতা-মাতার কাছে ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ সময় অপহরণকারীরা ১৫ লাখ টাকা দেয়ার জন্য দুদিন সময় দেয় অন্যথায় অপহৃত শিশুটিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী মোঃ জাকির হোসেন ভিকটিমের বাবার টিনশেড বাসার ভাড়াটিয়া ও অপহরণকারীরা স্থানীয় একটি গার্মেন্টস কারখানায় প্যাকিং ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, চক্রটির মূলহোতা পলাতক আসামি মোঃ সোহান গ্রেফতারকৃতদের সঙ্গে মুক্তিপণের টাকা ভাগাভাগির চুক্তি করে শিশুটিকে অপহরণ করার পরিকল্পনা করেন। অপহরণের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পলাতক সোহান ভিকটিম শিশুটিকে চিপস ও খেলনা কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করেন। এরপর গ্রেফতারদের সঙ্গে মিলিত হয়ে সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ডে ও পরে বাসযোগে চট্টগ্রামে গ্রেফতার জাকিরের চাচার বাসায় নিয়ে আটক রাখে। একপর্যায়ে চক্রের মূলহোতা পলাতক সোহান ভিকটিমের বাবার সঙ্গে মুক্তিপণের বিষয়ে দরকষাকষি করে বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেয়। গ্রেফতাররা জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাব জানায়, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা দীর্ঘদিন ধরে সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত।
×