ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ফের লকডাউন

প্রকাশিত: ২২:৪৫, ১ মার্চ ২০২১

নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ফের লকডাউন

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিউজিল্যান্ডে নতুন একজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় দেশটির বৃহত্তম শহর অকল্যান্ডে চলতি মাসে দ্বিতীয়বারের মতো লকডাউন দেয়া হয়েছে। রবিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া এ লকডাউন সাতদিন স্থায়ী হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন। অন্যদিকে সারাবিশ্বে রবিবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়েছে ১১ কোটি ৪৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৮ জন । মারা গেছে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ২৮৩ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৯ কোটি ৫১ হাজার ৮৩৮ জন। হাসপাতালে ভর্তি ২ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৯৬৩ জন। যাদের মধ্যে ৯০ হাজার ৪৫৬ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৭৬৯ জন নতুন করে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। একদিনে মারা গেছে ৮ হাজার ১০১ জন। খবর বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরা, রয়টার্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের। অকল্যান্ডের প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দা শহরজুড়ে লকডাউনের মধ্যে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। এর আগের দিন শনিবার গভীর রাতে প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন লকডাউনের ঘোষণা দেন। সেদিন ২০ বছর বয়সী এক ব্যক্তির দেহে করোনা শনাক্ত হয়। তিনি এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমিত হলেও আইসোলেশনে ছিলেন না। শুক্রবার তিনি করোনা পরীক্ষা করাতে যান তারপর সেখান থেকে জিমে যান। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে আরডার্ন বলেন, জনসাধারণের মধ্যে আরও আক্রান্ত থাকাটাই স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী একথা বললেও রবিবার শহরটিতে নতুন করে আর কেউ শনাক্ত হয়নি। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এক পরিবারের তিনজনের মধ্যে করোনার অতিসংক্রামক যুক্তরাজ্যের ধরনটি শনাক্ত হয়েছিল। তখন অকল্যান্ডে তিনদিনের লকডাউন দেয়া হয়েছিল। নতুন যে ব্যক্তির ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে তিনিও যুক্তরাজ্যের ধরনটিতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। চীনা টিকায় আপত্তি শ্রীলঙ্কার ॥ এক কোটি ৪০ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার। চীনের সিনোফার্মের করোনার টিকার পরিবর্তে ওই বিপুলসংখ্যক মানুষকে দেয়া হবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি কোভিশিল্ড। শ্রীলঙ্কা সরকারের মুখপাত্র ডাঃ রমেশ পাথরিরানা আন্তর্জাতিক এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, চীনের সিনোফার্মের তৈরি করোনা টিকা এখনও পর্যন্ত তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করেনি। তাই আপাতত সেরাম ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড-এ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি করোনা টিকার ওপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে।
×