ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আরামিট সিমেন্টের লাগামহীন দর বাড়ছে

প্রকাশিত: ১৯:৫৩, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আরামিট সিমেন্টের লাগামহীন দর বাড়ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরামিট সিমেন্টের শেয়ারে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এই কোম্পানির শেয়ারের দর কোন কারণ ছাড়াই বাড়ছে। যা বাজারের জন্য অশনি সংকেত। এই ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা নজরদারীতে দাপট কমছে না ঝুঁকিপুর্ণ শেয়ারটি। গত এক মাসে ১৫ টাকার শেয়ারটি বাড়তে বাড়তে ২৭ টাকায় পৌঁছেছে। কোম্পানিটির লাগামহীন দর বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এক ধরনের আশঙ্কা কাজ করছে। বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা শেয়ারবাজার নিয়ে একটি চক্র বারবার খেলছে। তাদের ব্যাপারে নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজর দেওয়া উচিত। কিছুদিন ধরে পুঁজিবাজারে স্থিতিশীল করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক সব ধরনের বিনিয়োগকারীসহ বাজার সংশ্লিষ্টরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তারপরও কোথাও যেনো একটি গলদ থেকে যাচ্ছে এবং বাজার উঠতে গেলেই একটি অদৃশ্য শক্তি সূচকের পেছন থেকে নিচের দিকে টেনে ধরে। মূলত এই অদৃশ্য শক্তিটিই বার বার পুঁজিবাজারকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে কাজ করছে। ২০১০ সালের পুঁজিবাজার ধ্বসে এদের সক্রিয়তা ছিল। এদের কারণে নিংস্ব হয়েছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারীরা। আরামিট সিমেন্ট ॥ আরামিট সিমেন্ট গত ৫ বছর ধরে লভ্যাংশ দিচ্ছে না। বাড়ছে ঋণের বোঝা, তেমনি বাড়ছে লোকসানের পরিমান। তারপর টানা দর বাড়ছে। গত ১ মাসের ব্যবধানে ১৭ টাকা থেকে গতকাল সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ২৭.৯০ পর্যন্ত লেনদেন হয়। এদিকে গত এক মাসে শেয়ারের দাম প্রায় দ্বিগুনের কাছাকাছি। তবে গত সপ্তাহে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দাপট দেখিয়েছে পচা ‘জেড’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আরামিট সিমেন্ট। কোম্পানিটির শেয়ার গত সপ্তাহজুড়ে বিনিয়োগকারীদের কাছে পছন্দের শীর্ষ স্থানে ছিল। এর ফলে দাম বাড়ার শীর্ষ স্থানটি দখল করেছে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার। ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসায় গত সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারের দাম বেড়েছে ২২ দশমিক ১২ শতাংশ। টাকার অঙ্কে বেড়েছে ৪ টাকা ৬০ পয়সা। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ২৬ টাকা ৮০ পয়সা, যা আগের সপ্তাহের শেষে ছিল ২০ টাকা ৮০ পয়সা। শেয়ারের এমন দাম হলেও ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া এই কোম্পানিটির লভ্যাংশের ইতিহাস খুব একটা ভালো না। ২০১৬ সালে বিনিয়োগকারীদের ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়া কোম্পানিটি এরপর আর কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। ফলে শেয়ারবাজারের পচা ‘জেড’ গ্রুপে স্থান হয়েছে কোম্পানিটির। চলমান হিসাব বছরেও কোম্পানিটি খুব একটা ভালো অবস্থানে নেই। ২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১ টাকা ৯ পয়সা মুনাফা দেখালেও, ছয় মাসের (২০২০ সালের জুলাই-ডিসেম্বর) হিসাবে কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ২৩ পয়সা লোকসানে রয়েছে।
×