স্টাফ রিপোর্টার ॥ করোনার কারনে পরীক্ষার পরিবর্তে আগের জেএসসি ও এসএসসির মূল্যায়ণে দেয়া এইচএসসি ও সমমানের ফলে সন্তুষ্ট না হয়ে রিভিউ আবেদন করা শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার সকল শিক্ষা বোর্ডে একযোগে প্রকাশ করা ফলে পরিবর্তন এসেছে সামান্যই। বেশ কয়েকটি বোর্ডে কোন শিক্ষার্থীরই আগের ফলে আসেনি কোন পরিবর্তন। যেসব বোর্ডে শিক্ষার্থীদের ফল পরিবর্তন হয়েছে সেখানে সংখ্যা এক থেকে ছয় জনের মধ্যে।
করানার কারনে গত বছরের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা না নিয়ে জেএসসি-এসএসসির ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ণ সকলকে উত্তীর্ন করা হয়েছিলো আগেই। পাস করে শতভাগ পরীক্ষার্থী। তার পরেও ফল নিয়ে করো আপত্তি থাকলে রিভিউ করার সুযোগ দেয় শিক্ষা বোর্ড। এতে ফলে ‘সন্তুষ্ট নয়’ বলে ১৫ হাজারেরও বেশি পরীক্ষার্থী ফল পরিবর্তনের জন্য স্ব স্ব শিক্ষা বোর্ডে রিভিউ আবেদন করেন। যে রিভিউয়ের ফল রবিবার প্রকাশ করা হয়েছে। যাদের ফলাফল পরিবর্তন হয়েছে তারা স্ব স্ব বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে তথ্য জানতে পেরেছেন।
গত ৩০ জানুয়ারি এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নের ফল প্রকাশ করা হয়। এর পরের দিন ৩১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফল রিভিউ করার সুযোগ পান শিক্ষার্থীরা। ১৫ হাজার ৭২৭ জন শিক্ষার্থী। তারা ফল পরিবর্তনের জন্য শিক্ষা বোর্ডে রিভিউ আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের রিভিউ আবেদন করা চার হাজার ১১৫জনের মধ্যে মাত্র একজন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। ওই পরীক্ষার্থী ২০১৪ সালে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। পরের বছর ২০১৫ সালে তিনি মাননোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়েছিল। কিন্তু বোর্ড ২০১৪ সালের ফলাফল আগের ফল ধরে এইচএসসি ফল তৈরি করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর আবেদনের যাচাই বাচাই করার পর বোর্ড দেখতে পারে তিনি ২০১৫ সালে মানোন্নয়নের আগের চেয়ে ভাল ফল করেছেন। পরে সেই ফল ধরে তার সংশোধিত ফল দেয়া হয়েছে।
বোর্ডের সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মোঃ মন্জুরুল কবীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, মোট আবেদনকারীর মধ্যে থেকে একজনের ফল পরিবর্তন হয়েছে। তার জেএসসিতে মানন্নোয়ন দিযেছিল। আমরা আগের ফল নিয়ে মুল্যায়ণ করেছিলাম, তার আবেদনের প্রেক্ষিতে পরের ফল ধরা তার এইচএসসিতে জিপিএ বেড়েছে।
আগের ফলে অসন্তুষ্ট হওয়া চট্টগ্রাম বোর্ডের মাত্র ছয় জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। তবে ফল পরিবর্তনে কেউ জিপিএ ফাইভ পায়নি। চট্টগ্রাম বোর্ডের এক হাজার ৮৮৫ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
সিলেট বোর্ডের মাত্র একজন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সে নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এ বোর্ডে ৯৪৭ জন পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন। আবেদন করা কুমিল্লা বোর্ডের কোন শিক্ষার্থীর ফলই পরিবর্তন হয়নি। এ বোর্ডে এক হাজার ২৭ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
যশোর বোর্ডের মাত্র ছয় জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এদের মধ্যে একজন শিক্ষার্থী জিপিএ ফাইভ পেয়েছেন। যশোর বোর্ডের এক হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন। ময়মনসিংহ বোর্ডের কোন শিক্ষার্থীর ফলই পরিবর্তন হয়নি। এ বোর্ডে ৯১৬ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
বরিশাল বোর্ডের চার জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। এ বোর্ডে ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন। রাজশাহী বোর্ডের মাত্র এক জন শিক্ষার্থীর ফল পরিবর্তন হয়েছে। সে নতুন করে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এ বোর্ডে ১ হাজার ৯২২ জন শিক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের আলিম পরীক্ষার্থীদের কারো ফল পরিবর্তন হয়নি। এ বোর্ডে ৫১৭ জন আলিম পরীক্ষার্থী ফল চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: