অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের শেয়ারবাজারে অস্থিরতা কাটছে না। একদিন সূচক বাড়ে তো দুই দিন কমছে। এভাবেই সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবারে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের শুরুতে মূল্য সূচকের বড় উর্ধগতি থাকলেও দিনশেষে তা টেকেনি। সূচকের এই নেতিবাচক প্রবণতার দিনে জাঙ্ক বা স্বল্প মূলধনী এবং জেড ক্যাটাগরির শেয়ারের দর বেড়েছে। মূলত দুর্বল কোম্পানির দরবৃদ্ধির দিনে উভয় স্টক একচেঞ্জেই কমেছে লেনদেনের পরিমাণ।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, লেনদেনের শুরুতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার মাধ্যমে ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয়। ফলে প্রথম ১৫ মিনিটের লেনদেনেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্টে বেড়ে যায়। লেনদেনের প্রথম এক ঘণ্টা শেয়ারের চাহিদা বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকে। কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই লেনদেনে অংশ নেয়া একের পর এক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমতে থাকে। ফলে নিচের দিকে নামতে থাকে সূচক। শেষ অধাঘণ্টার লেনদেনে পতনের মাত্র আরও বাড়ে। ফলে বড় উত্থানে লেনদেন শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত সবকটি সূচকের পতন হয়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, লেনদেন ও সূচক কমার দিনে শেয়ারবাজারে জাঙ্ক শেয়ারের চাহিদা বেড়েছে। জাঙ্ক শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, জিকিউ বলপেন, ই-জেনারেশন, এসোসিয়েটেড অক্সিজেন, দেশ গার্মেন্টস, লিব্রা ইনফিউশন, বিডি ল্যাম্পস, সোনালী আঁশের। অন্যদিকে জেড ক্যাটাগরির সাভার রিফ্যাক্টরীজ, ঝিল বাংলা সুগার, শ্যামপুর সুগার, ফ্যামিলি টেক্স ও আরামিট সিমেন্টের দর বেড়েছে বেশি।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বেড়েছে ১০২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের। এর বিপরীতে পতনের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১২০টি। আর ১২৬টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমে যাওয়ায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৪০৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৮ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ৫৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসইর শরীয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২২২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
মূল্য সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৬৬০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৭৪৬ কোটি ২ লাখ টাকা। সেই হিসাবে লেনেদেন কমেছে ৮৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা।
ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩১ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রবির ৫৭ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। ৫২ কোটি ১৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: