ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি যুবরাজকে রক্ষায় টুইটারে প্রচারণা

প্রকাশিত: ১১:২৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সৌদি যুবরাজকে রক্ষায় টুইটারে প্রচারণা

অনলাইন ডেস্ক ॥ মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জামাল খাশোগিকে হত্যায় সৌদি যুবরাজকে দায়ী করায় যুবরাজের সমর্থকরা টুইটারে নতুন হ্যাশট্যাগ তৈরি করে তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছেন। সমর্থকদের ভাষ্য– সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে জোরালো কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই। খবর রয়টার্সের। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর টুইটারে ‘আমরা সবাই মোহাম্মদ বিন সালমান’ হ্যাশট্যাগটি ছড়িয়েছে। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক মিনিট পরই তার সমর্থকরা যুবরাজের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের ভাষ্য– মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে যুবরাজ বিন সালমানের সম্পৃক্ত থাকার জোরালো কোনো প্রমাণ নেই। আর মানবাধিকার সংগঠনগুলো চাইছে– খাশোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ ও সৌদি আরবের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরবের ঘনিষ্ঠ মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্পের শাসনামলে সেটি আরও পোক্ত হয়। তবে বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংবাদিক খাশোগি হত্যা ও ইয়েমেন যুদ্ধ কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে শীতলতার আভাস স্পষ্ট হয়েছে। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর সৌদি আরবের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সৌদির নেতৃত্ব সম্পর্কে এই প্রতিবেদনে নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এই ‘বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের’ বিচার করেছেন সৌদি আরবের আদালত। যারা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের সাজাও হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে আরাবিয়া ফাউন্ডেশনের সাবেক প্রধান আলি শিহাবি মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের পর টুইটারে লিখেছেন, এই প্রতিবেদনে এমন কিছু নেই, যা আগে বলা হয়নি। এ ছাড়া যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনো তথ্যপ্রমাণ এতে নেই। যুবরাজের বিরুদ্ধে জোরালো কোনো প্রমাণ এই প্রতিবেদনে নেই। সরকারনিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদমাধ্যমে কলাম লেখক আবদুল রহমান আল-রাশেদ একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, যুবরাজকে দোষী সাব্যস্ত করার মতো কোনো তথ্যপ্রমাণ মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নেই। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এই প্রতিবেদন নিয়ে সৌদি আরবের সংবাদপত্র ও টেলিভিশনগুলো কোনো প্রতিবেদন প্রকাশ করেনি। সৌদির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আল আরাবিয়ায় শুধু সন্ধ্যার খবরে ছোট করে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়েছে। তবে এতেও তথ্যপ্রমাণের বিষয়টিকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। তবে অধিকারকর্মীরা সৌদি আরবের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানাচ্ছেন। তারা যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা চাইছেন। জামাল খাশোগি হত্যার তদন্তে স্বচ্ছতা আনায় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ডেমোক্রেসি ফর দ্য আরব ওয়ার্ল্ড নাউ। ‘আমরা সবাই মোহাম্মদ বিন সালমান’ হ্যাশট্যাগ যেমন ছড়িয়েছে, তেমনি ‘খাশোগির হত্যাকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান’ এই হ্যাশট্যাগও ট্রেন্ড হয়েছে টুইটারে।
×