ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

এ্যান্টার্কটিকায় ভেঙ্গে পড়ল ‘দৈত্যাকার’ ডহমশৈল

প্রকাশিত: ০০:২৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

এ্যান্টার্কটিকায় ভেঙ্গে পড়ল ‘দৈত্যাকার’ ডহমশৈল

এ্যান্টার্কটিকায় অবস্থিত ব্রিটিশ এ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশনের অদূরে গ্রেটার লন্ডনের সমান ১ হাজার ২৭০ বর্গকিলোমিটারের একটি ‘দৈত্যাকার’ হিমশৈল ভেঙ্গে গেছে। ব্রিটিশ এ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশনের পাঠানো ছবি বিশ্লেষণ করে ক্যামব্রিজে সংস্থাটির সদর দফতর থেকে জানানো হয় যে, শুক্রবার বার্ন আইস শেলফ নামের ওই হিমবাহ থেকে বিশালাকার একটি হিমশৈল ভেঙ্গে যায়। বিবিসি। ব্রিটেনের ওই স্টেশন থেকে ভেঙ্গে যাওয়া হিমশৈলটির দূরত্ব মাত্র বিশ কিলোমিটার। হিমবাহ ধসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়ার কারণে সাবধানতার অংশ হিসেবে ২০১৭ সাল থেকে নিজেদের কার্যক্রমের ব্যাপ্তি কমিয়ে স্বল্প পরিসরে কাজ করছে ব্রিটিশ এ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশন। এর আগেও স্টেশনটি এমন হিমশৈল ভেঙ্গে যাওয়ার তথ্য ও ছবি পাঠিয়েছিল। এ্যান্টার্কটিকার এই অংশে বিশালাকার হিমশৈল ধসে পড়ার বিষয়টি প্রথম আবিষ্কার করা হয় এক দশক আগে। আবারও এমন করে কোন হিমশৈল ধসে পড়তে পারে বিবেচনা করে এরপর থেকে ওই অঞ্চলটি নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ করে আসছে ব্রিটিশ এ্যান্টার্কটিক সার্ভে স্টেশন। ব্রিটেনের গ্লেসিওলোজিস্ট এবং ওয়েলসের সোয়ানসি ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্বের অধ্যাপক এ্যাড্রিয়ান লাকম্যান সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে সার্ভে স্টেশন থেকে পাঠানো চিত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর অনুমান করছিলেন, কখন হিমশৈলটি (বরফের একটি বিশাল অংশ) হিমবাহ থেকে ভেঙ্গে যেতে পারে। অধ্যাপক এ্যাড্রিয়ান লাকম্যান বলে, ‘যদিও এ্যান্টার্কটিকে হিমশৈল ভেঙ্গে ফেলার এমন বিষয় সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক হলেও শুক্রবার ব্রেন্ট আইস শেলফে শনাক্তকৃত বিশাল আকারের হিমশৈল ধসে পড়ার মতো ঘটনা বেশ বিরল’।
×