ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩ বছর পর দুই খালাত বোনের আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচন

প্রকাশিত: ০০:১৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

৩ বছর পর দুই খালাত বোনের আত্মহত্যার রহস্য উন্মোচন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর ২৭ ফেব্রুয়ারি ॥ রংপুর মহানগরের শেখপাড়ায় একই সঙ্গে আপন দুই খালাত বোনের আত্মহত্যার ত্রিভুজ প্রেমের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার মূল আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনে জানান, রংপুর মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় দায়েরকৃত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে (দায়ের করা মামলা অনুযায়ী মামলা নং- ৪৪, তারিখ ১৮/০২/১৮) দুই খালাত বোনের একই সঙ্গে বিষপানে আত্মহত্যার ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০১৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রংপুর কোতোয়ালি থানার শেখপাড়া গ্রামের আপন দুই খালাত বোন আলমগীর হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার অন্নি (১৫) ও মঞ্জুর হোসেনের মেয়ে লুৎফন নাহার লাতুল (১৪) বিষপানে আত্মহত্যা করে। তখন এ ঘটনায় এলাকায় আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং চাঞ্চল্যকর ঘটনা হিসাবে ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার হয়। তৎকালীন রংপুর কোতোয়ালি থানায় এ বিষয়ে মামলা করা হলে থানা পুলিশ দীর্ঘ আড়াই বছর তদন্তের পর মামলার তদন্তভার পিবিআই গ্রহণ করে। পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের নেতৃত্বে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক যতীন্দ্রনাথ শর্মা প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তথ্যপ্রযুক্তি ও সোর্সের মাধ্যমে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দানের মূল আসামি একই গ্রামের আনছার আলীর পুত্র মেরাজুল ইসলাম (২২) কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী থেকে জানা যায়, মেরাজুল এক সঙ্গে দুই খালাত বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে দুই বোনের সঙ্গেই প্রতারণামূলকভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে। বিষয়টি উভয় বোন জানতে পারায় তারা উভয়ই মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরে তারা একই সময় তাদের নানার বাড়িতে সকলের অগোচরে বিষপানে আত্মহননের পথ বেছে নেয়। রংপুর মেডিক্যালের ফরেনসিক বিভাগ হতে ভিকটিমদ্বয়ের আত্মহত্যার পূর্বে ধর্ষিতা হওয়ার বিষয়ে আলামত পাওয়া গেছে এবং মামলাটির তদন্ত অব্যাহত আছে বলেও পিবিআইয়ের ওই কর্মকর্তা জানান।
×