ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বেসরকারী আমদানির সব চাল ১৫ মার্চের মধ্যে আনার নির্দেশ

প্রকাশিত: ২৩:১৩, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বেসরকারী আমদানির সব চাল ১৫ মার্চের মধ্যে আনার নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বেসরকারীভাবে আমদানির অনুমতি দেয়া সব চাল আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে আনার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া আমদানিকারকদের নতুন এই সময়ের সুযোগ দিয়ে খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার এই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, চাল আমদানির জন্য অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসব বেসরকারী আমদানিকারক ইতোমধ্যেই এলসি খুলেছে, কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেনি, তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো। এলসি খোলার কতদিনের মধ্যে চাল বাজারজাত করতে হবে তা বরাদ্দপত্রে বলে দেয়া হয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারীভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের চাহিদা অনুযায়ী সব কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। উল্লেখ্য, খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারী পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া যেসব বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ঋণপত্র (লেটার অব ক্রেডিট-এলসি) খুলতে পারেনি, ইতোমধ্যে তাদের বরাদ্দপত্র বাতিল করা হয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে সরকার বেসরকারীভাবে চাল আমদানি শুরু করে। ৩ জানুয়ারি প্রথম এই অনুমোদন দেয় সরকার। ৭ জানুয়ারি ভারত থেকে আমদানির প্রথম চালান দেশে আসে। বেশ কিছু শর্তে বেসরকারী খাতে চার লাখ ৮৭ হাজার টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। দেশে পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকায় বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে জানুয়ারিতে বেসরকারী খাতে আমদানির সুযোগ উন্মুক্ত করে সরকার। গত ২৭ ডিসেম্বর চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার ঘোষণা দেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। আগ্রহী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই মন্ত্রণালয়ে চাহিদাপত্র জমা দিয়ে অনুমোদন নেয়ার নির্দেশ দেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম। এর বাইরে সরকারী পর্যায়ে রেশনিং, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচী ও অন্যান্য প্রয়োজনে আমদানি করা হচ্ছে চার লাখ টন চাল। বেসরকারী আমদানিকারকদের ক্ষেত্রে শর্ত দেয়া হয়, বরাদ্দপত্র ইস্যু করার সাত দিনের মধ্যে এলসি খুলতে হবে। এ সংক্রান্ত তথ্য (পোর্ট অব এন্ট্রিসহ) খাদ্য মন্ত্রণালয়কে তাৎক্ষণিকভাবে ইমেলে জানাতে হবে। সর্বোচ্চ ৫ হাজার টন আমদানির বরাদ্দ পাওয়া ব্যবসায়ীদের এলসি খোলার ১০ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ২০ দিনের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করতে হবে। ১০ হাজার টন বরাদ্দপ্রাপ্তরা এলসি খোলার ১৫ দিনের মধ্যে ৫০ শতাংশ এবং ৩০ দিনের মধ্যে সব চাল বাজারজাত করার শর্ত দেয়া হয়।
×