ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওয়েবিনারে শিক্ষামন্ত্রী

ভার্সিটিগুলোয় শিল্পের উপযোগী জনশক্তি তৈরি জরুরী

প্রকাশিত: ২৩:১২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ভার্সিটিগুলোয় শিল্পের উপযোগী জনশক্তি তৈরি জরুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি বলেছেন, শুধু ডিগ্রী দেয়া নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিল্পের উপযোগী দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে আরও মনোযোগী হতে হবে। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা যুগোপযোগী না হওয়ায় বিদেশী কর্মীনির্ভরতা বাড়ছে। এজন্য শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যমান দূরত্ব ঘুচিয়ে যৌথ সহযোগিতা বাড়াতে হবে। শনিবার রাজধানীতে ‘শিল্প ও শিক্ষার সংযোগ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে যোগ দিয়ে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ওয়েবিনারের আয়োজন করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ। ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডেফোডিল ইটারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের টাস্ট্রি বোর্ডে চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা কাটিয়ে উঠে দক্ষ জনবল তৈরিতে সরকার কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছে। আমাদের জনবহুল দেশ হওয়ায় বিদেশে কর্মী প্রেরণের কথাও ভাবতে হবে। ২০৪১ সালের রূপকল্প সবাই মিলে করতে হবে। আসলে আমরা শিক্ষার্থীদের চাকরির উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারছি না। পোশাক শিল্প মালিকরা হা-হুতাশ করেন, মিড ও সিনিয়র লেভেলের কর্মী আনতে হচ্ছে আশপাশের দেশ থেকে। এ খাতে প্রচুর বিদেশী মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। অথচ বিবিএ, এমিএ ডিগ্রিধারীর অভাব নেই। তাহলে কেন এই সঙ্কট? মন্ত্রী বলেন, আসলে আমরা এদিকে যথাযথভাবে নজর দেইনি। শিক্ষকরা মনে করেন, শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু মুনাফার কথা চিন্তা করে। আর শিল্পপতিরা ভাবেন প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা সেকেলে। বর্তমান যুগের চাহিদা ও আধুনিক প্রযুক্তি সম্পর্কে শিক্ষাবিদরা ওয়াকবিহাল নন। কোনটি সঠিক নয়, সবাই ভবিষ্যতমুখী। দুয়ের মধ্যকার দূরত্ব ঘুচাতে হবে। এদিকে টেকসই উন্নয়নের জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক দুই দিনব্যাপী অপর এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে শিক্ষা মন্ত্রী বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে। যাতে এ চতুর্থ শিল্প বিপ্লব থেকে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বিশ্বের ১১টি দেশের গবেষকরা অংশ নিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে চলছে। একই সঙ্গে এ ধরনের সম্মেলন খুবই সময়োপযোগী যা বাংলাদেশের আইসিটি খাতে ভূমিকা রাখবে। অনলাইনে আরও যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল মোঃ মোশফেকুর রহমান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আবুল কাশেম মজুমদার। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শনিবার সম্মেলনের প্রথমদিনে বিশ্বের ১১টি দেশের গবেষকরা স্বাস্থ্য, ব্যবসা, কৃষি, ইন্ডাস্ট্রি এবং আধুনিক শহর ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ৩১০টি গবেষণাপত্র দাখিল করেছেন। এগুলোর মধ্যে ৯৭টি গবেষণাপত্র উপস্থাপনার জন্য অনুমোদন করা হয়। উদ্বোধনী দিনে প্রবন্ধ বক্তা হিসেবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন আয়ারল্যান্ডে ইউনিভার্সিটি অব লিমারিকের প্রফেসর ও সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং মাইক হিনছে, বুয়েটের প্রফেসর এসপি মজুমদার। দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘শেপিং এ্যা সাস্টেইনেবল ফিউচার থ্রো এ্যাডভান্সমেন্ট ইন ইনফরমেশন এ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি’।
×