ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবশেষে আলোচিত সোহেল হত্যা মামলার জট খুলেছে

প্রকাশিত: ২১:৪৬, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

অবশেষে আলোচিত সোহেল হত্যা মামলার জট খুলেছে

গাফফার খান চৌধুরী ॥ অবশেষে আলোচিত সোহেল ওরফে বদন খন্দকার হত্যা মামলার জট খুলেছে। উদ্ধার হয়েছে বদন খন্দকারের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনটি। গ্রেফতার হয়েছে সরাসরি হত্যায় অংশ নেয়া যুবক লিটন মিয়া নামের এক পেশাদার ছিনতাইকারী। সামান্য একটি ইজিবাইকের জন্য বাদল খন্দকারকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পর লাশ রাস্তার পাশে ফেলে দেয়া হয়। লিটন মিয়াকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে সারাদেশে ইজিবাইক, অটোরিক্সা ও সিএনজি ছিনতাইকারীদের একাধিক চক্রকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই। চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে পিবিআইসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কাজ করছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার এমন তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে সাতটার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরব আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশ থেকে নির্মমভাবে হত্যা করা অজ্ঞাত এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের ক্রাইম সিন আলামত সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নিহত ব্যক্তি সোহেল ওরফে বদন খন্দকার (৪০) বলে পরিচয় শনাক্ত করেন নিহতের পিতা মোঃ আব্দুল হান্নান খন্দকার। নিহতের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানাধীন দাড়িয়াকান্দি এলাকায়। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ভৈরব থানায় অজ্ঞাত খুনীদের আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ তদন্ত করে। পরবর্তীতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশ মোতাবেক মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় কিশোরগঞ্জ জেলা পিবিআইকে। পিবিআই প্রধান বলছেন, ইতিপূর্বে আমাদের হাতে আরও ইজিবাইক, সিএনজি ও অটোরিক্সা ছিনতাই চক্রের সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। তাদের মাধ্যমে সারাদেশে এই সিন্ডিকেটের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এগুলো একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা ছিনতাইকারী হলেও ছিনতাইয়ে বাধাপ্রাপ্ত হলে খুন করতেও দ্বিধা করে না। তাই এরা ছিনতাইকারী কাম খুনী। পিবিআইয়ের কিশোরগঞ্জের বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাত হোসেন মামলার বরাত দিয়ে জনকণ্ঠকে জানান, বদন খন্দকার ইজিবাইক চালক। গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর সকাল নয়টার দিকে বদন খন্দকার প্রতিদিনের মতো ইজিবাইক নিয়ে বের হন। দুপুরে ইজিবাইকটি ভৈরবের দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড রেখে বাড়িতে খেতে যান। খেয়ে যাওয়ার পর ওইদিন রাত নয়টা পর্যন্ত বদন খন্দকার বাড়িতে না ফেরায় চিন্তিত হয়ে বদনের স্ত্রী শরুফা বেগম স্বামীকে ফোন করেন। ফোন বাজলেও কেউ তা ধরছিল না। এরপর বাড়ির লোকজন দাড়িয়াকান্দি বাসস্ট্যান্ড ও ডুমরাকান্দা বাজারসহ সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে। কিন্তু বদন খন্দকার ও তার ইজিবাইকের কোন সন্ধান পাওয়া যায় না। পরদিন রাস্তার পাশে তার লাশ পাওয়া যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অনেক চেষ্টার পর শেষ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের ভৈরবের সম্ভূপুর থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িত মোঃ লিটন মিয়া (২২) নামের এক ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করা হয়।
×