ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ড. মিহির কুমার রায়

একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

একুশের চেতনায় উদ্ভাসিত বাংলাদেশ

২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক বিতরণের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেছিলেন ভাষার সংগ্রামে রচিত হয়েছিল স্বাধীনতার পথ, যে পথ ধরে ১৯ বছর সংগ্রামের ফসল আমাদের স্বাধীনতা যার ৫০ বছর পূর্তিতে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনে জাতি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ২৬ মার্চের সেই শুভ ক্ষণটির জন্য। তাই আজ ভাষা আন্দোলনের ৬৯তম বার্ষিকী আর স্বাধীনতার পাঁচ দশক পূর্তি অনুষ্ঠানমালায় আমরা মিনম্র চিত্তে স্মরণ করছি শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ অগণিত মুক্তিযুদ্ধাদের যাদের প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষা/স্বাধীন দেশ তথা স্বাধীন বাংলাদেশ পৃথিবীর বুকে স্থান করে নিতে পেরেছে যা আমাদের অহঙ্কারের ধন। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাঙালী জাতিসত্তার যে স্ফুরণ ঘটেছিল, তাই পরবর্তীতে বাঙালীর জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় মনস্তাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক প্রেরণা জোগায়। নিজ নিজ মাতৃভাষার প্রতি সম্মান জানানোর বিশেষ অনুপ্রেরণা হয়ে আসে ফেব্রুয়ারি। ভাষার অধিকারের পক্ষে লড়ার পাশাপাশি, ঔপনিবেশিক প্রভুত্ব ও শাসন-শোষণের বিরুদ্ধে একুশ ছিল বাঙালীর প্রথম প্রতিরোধ। নিজস্ব জাতিসত্তা, স্বকীয়তা ও সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য রক্ষার সংগ্রাম হিসেবেও এর রয়েছে আলাদা তাৎপর্য। প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় আরও বলেন, মাতৃভাষার জন্য পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা যে সংগ্রামের সূচনা করেছিলেন তার মধ্য দিয়েই রচিত হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথ। ১৯৫২ সালের আন্দোলন কেবল ভাষাভিত্তিক ছিল না, তা ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার ভূমিকা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চের ধর্র্মঘটে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানসহ ভাষাসৈনিক সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার হন এবং বার বার তিনি কারাবরণ করেন। ভাষা আন্দোলনকে জাতীয় আন্দোলনে রূপদান করতে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণায় অংশগ্রহণ করেন এবং বারবার ১৪৪ ধারা অমান্য করে কারাবরণ করেন। বর্তমানে বাংলা ভাষাভাষীর সংখ্যা প্রায় ২৩ কোটি যার অধিকাংশই বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরা রাজ্যে কেন্দ্রীভূত। বাংলাদেশের জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলা যা ভারতের ২৩টি রাষ্ট্রীয় ভাষার মধ্যে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা। এই ভাষাভাষী মানুষগুলো ছড়িয়ে আছে দক্ষিণ এশিয়ার পশ্চিমবঙ্গ (সরকারী ভাষা), ত্রিপুরা (সরকারী ভাষা), অসম রাজ্যের কাছাড়, করিমগঞ্জ, গোয়ালপাড়ায় (সহসরকারী ভাষা), ধুপরি জেলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড রাজ্যেও ধানবাদ (দ্বিতীয় সরকারী ভাষা), সিংভুম, সাঁওতাল পরগনা, উড়িষ্যা রাজ্যের বালাসোর জেলা, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ইউনিয়ন এলাকা, পাকিস্তানের করাচী-২০ (পাকিস্তানে স্বীকৃত দ্বিতীয় ভাষা), নেপাল ইত্যাদিতে। আফ্রিকা মহাদেশের সিয়েরা লিয়নে বাংলাভাষীর সংখ্যা ৫ হাজার এবং শান্তিরক্ষা বাহিনী জাতিসংঘের মিশনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা ভাষাকে সিয়েরা লিয়নে সরকারী ভাষা ঘোষণা করা হয় যা বাংলা ভাষার জন্য আরও একটি গর্বের বিষয়। বাঙালীর স্বাধীনতা সংগ্রামের সর্বশেষ আন্দোলনের ফসল যদি হয় স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়লাভ, তাহলে সংগ্রামের গোড়াপত্তন হয়েছিল ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে। এখন ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আর ২০২১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি- এই প্রায় সাত দশকের পথ পরিক্রমায় আমরা কি চেয়েছি আর কি পেয়েছি এই প্রশ্ন পর্যালোচনার এটাই মুখ্য সময়। একুশ আমাদের রাষ্ট্র দিয়েছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস দিয়েছে, ২১ দফা দিয়েছে, বাংলা একাডেমি দিয়েছে, শহীদ দিবস, মাতৃভূমি/মাতৃভাষা নিয়ে গৌরব করার অধিকার দিয়েছে, আত্মাপলব্ধির সুযোগ করে দিয়েছে সত্যি। কিন্তু প্রায় সত্তর বছরেও আমরা আমাদের রাষ্ট্রীয় কিংবা সমাজ জীবনে সব স্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করতে পারিনি। যদিও উচ্চ আদালতে ভাষার অবস্থান এখনও নিশ্চিত হয়নি। দেশের বেশিরভাগ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা বিষয় হিসেবে পাঠদানে স্থান করতে পারেনি। অথচ এই বাংলা ভাষার জন্য ১৯৫২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারি বাঙালীকে রক্ত দিতে হয়েছিল যা বৃথা যায়নি। কারণ-এর ভিতর দিয়ে আমরা আমাদের জাতীয় সত্তাকে খুঁজে পেয়েছি যা আমরা পরাধীনতার শৃঙ্খলে হারিয়ে ফেলেছিলাম দীর্ঘ সময় ধরে। আরও গৌরবের বিষয় যে ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে এবং বিশ্বের বাংলাভাষী নাগরিকরা তাদের আদলে শহীদ মিনার তৈরি করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়। একুশ আমাদের সংস্কৃতির অংশ- কি গানে, কবিতায়, নাটকে, চলচ্চিত্রে। প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী বিরচিত আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানটি আমাদের প্রেরণার উৎস হয়ে আছে হৃদয়পটে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিসংগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২০ বছর ভাষা ও সংস্কৃতির আন্দোলন চলেছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে। সে জন্যই ৫২র একুশের রক্ত, ৬২, ৬৬, ৬৯ ও ৭১-এর সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাঙালী যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা পেয়েছিল। ৫২র ২১ ফেব্রুয়ারি না হলে মুক্তিযুদ্ধ হতো কিনা তা নিয়ে অনেক সুধীজনের সন্দেহ রয়েছে। ১৯৫২র একুশে চেতনায় উজ্জীবিত বাঙালী একের পর এক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২১ থেকে ’৭১-এর মধ্যে তারা ভাষা, সংস্কৃতি ও অধিকার রক্ষা করে গেছে সত্যি কিন্তু বর্তমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে আমাদের অনেক অর্জনের মধ্যে একুশে চেতনা বনাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বহির্প্রকাশ কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে বা দেশের যুবক শ্রেণী যারা জনসংখ্যার একটি বৃহৎ অংশ দখল করে রয়েছে, যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি তারা একুশের চেতনাকে কিভাবে দেখছে তার একটি নিরপেক্ষ বিশ্লেষণ প্রয়োজন। চেতনা কথাটির আভিধানিক অর্থ আবেগ কিংবা অনুভূতি যা একটি জাগতিক অবস্থানকে বুঝায় যার ব্যাপক অর্থ সচেতনতা। ২১-এর চেতনার মানে কি কেবল একটি আনুষ্ঠানিকতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ, যেমন বছরে একটি দিবস পালন, সকালে প্রভাতফেরির আয়োজন, পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ, বিশেষ পোশাক পরিধান, বিশেষ খাবার পরিবেশন, সাস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন দিনভর ইত্যাদি। এর বাইরে যে অনেক কিছু আছে তা গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করা এবং তার বাস্তবায়নে টেকসই পন্থা উদ্ভাবন প্রয়োগ করাই একুশের চেতনার মুখ্য বিষয়। আবার একুশের চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূরক হিসেবে দেখা হয়। তা হলে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে পাওয়া এর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ। সেই বিবেচনায় একুশের চেতনার মানে দাঁড়ায় সকল নাগরিকের সমান মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভয়কে জয় করা, কুশাসনকে প্রতিহত করা, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করা, বৈষম্য দূর করা এবং দেশকে ভালভেসে স্বাধীনতাকে অর্থবহ করা। একুশের চেতনার প্রায়োগিক অর্থ খুঁজে পাওয়া যায় জাতির পিতার ৭ মার্চের ভাষণে। যেখানে তিনি বলেছিলেন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ ব্যবস্থার কথা, যেখানে সব শ্রেণীর ভাষা/সংস্কৃতি সমুন্নত রেখে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণ করা, নিজের মাতৃভাষাকে শিক্ষায়/গবেষণায় অনুশীলন করা, অন্য ভাষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া ইত্যাদি। এই বিষয়গুলো যদি অর্থনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় প্রতিফলন ঘটানো যায় তা হলে আমরা অনেকাংশে সফলকাম হব। আমাদের এখন কি করতে হবে তাই বিবেচ্য বিষয়। কারণ ২০২১ সালের বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত জরুরী অবস্থায় কবলিত করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে। এখন পর্যন্ত ৮ হাজারেরও অধিক লোক মারা গেছেন যাদের মধ্যে বেশিরভাগ উচ্চশিক্ষিত বুদ্ধিজীবী এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫ লাখেরও অধিক। ফলে এই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালনে অনেক সীমাবদ্ধতা দেখা গেছে এবং একুশের বইমেলা যাকে বলা হয়ে থাকে প্রাণের মেলা যা একুশের মাসে অনুষ্ঠিত না হয়ে মার্চের ১৮ তারিখে শুরু হয়ে এপ্রিলের ১৪ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা যার সঙ্গে শিল্প-সংস্কৃতি ও লাখো মানুষের জীবন-জীবিকার বিষয় যুক্ত। বিশেষত যারা প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এখন যদি আমরা ভাষার ব্যবহারে প্রযুক্তির বিষয়ে আসি তা হলে দেখা যায় যে বর্তমানে বিশ্বের অনেকেই বাংলায় কথা বললেও ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ব্যবহৃত ভাষার মধ্যে বাংলা নেই। অর্থাৎ ৮২.২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ইংরেজী, চায়নিজ, স্প্যানিশ, পর্তুগিজ, আরবী, ফরাসী, রুশ ও কোরীয় ভাষা- এই আটটি ভাষা মধ্যে একটি ব্যবহার করে। উপমহাদেশীয় কোন ভাষা এই আটটির মধ্যে নেই। বাংলা ইন্টারনেট ভাষার হিসেবে গড়ে না ওঠার বড় কারণ হচ্ছে এর উচ্চারণ এবং কাঠামো। এতে রয়েছে অপেক্ষাকৃত বড় বর্ণমালা এবং জটিল সংযুক্ত বর্ণ, রয়েছে একই শব্দের নানা রকম বানান আর আঞ্চলিক উচ্চারণ। আর একটি বড় বাধা হচ্ছে বাংলা ভাষার প্রক্রিয়াকরণ যথেষ্ট স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। বাংলা ভাষাকে বিশ্বায়ন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে বহুমাত্রিক ব্যবহারের জন্য বাংলা ফ্রন্ট ও ইউনিকোড প্রমিতকরণ প্রয়োজন। তা না হলে ভাষার বিলুপ্তি ঘটবে ও পরিবর্তিত হবে ভাষার মানচিত্র। দ্বিতীয় প্রসঙ্গটি হলো গবেষণা/বিশ্লেষণে ভাষার স্থান নিয়ে ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেকেই ভিন্নধর্মী লেখা লিখেছেন। যার মধ্যে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ বদরুদ্দীন উমর যিনি ভাষা আন্দোলনের অন্তর্নিহিত বিষয়গুলোকে ব্যাখ্যা করার প্রয়াস পেয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের মধ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বীজ রোপিত ছিল এ কথাটি বারবার বলা হয় কিন্তু যে আন্দোলন ছিল শুধু ছাত্র-তরুণ ও শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবীদের আন্দোলন, তা কী করে দুই দশকের মধ্যে একটি জাতির জাগরণ ঘটিয়ে তাকে মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নিয়ে আসে, এ বিষয়টি একনিষ্ঠভাবে গবেষণা করার প্রয়োজন, তা বদরুদ্দীন ওমর অনুধাবন করেছিলেন। তার লেখা ম্যাগনাম ওপাস পূর্ব বাংলার ভাষা আন্দোলন ও তৎকালীন রাজনীতি নামের তিন খণ্ডের বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশ করেছিলেন ১৯৭০ সালে আর শেষ খণ্ডের প্রথম প্রকাশের কাল ছিল ইংরেজী ১৯৮৫ সাল। আমাদের একুশকে শুধু ভাষার মাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ না রেখে তা চিন্তায় স্থান করে নিতে হবে। মনে রাখতে হবে বাঙালীর রক্তস্নাত বাংলা ভাষা তখনই মর্যাদা পাবে যখন বাংলা ভাষাকে আমরা মগজে ধারণ করব পরম যত্নে আন্তরিকতার সঙ্গে। বাংলা ভাষায় গবেষক তৈরি করতে হবে, কাজের মর্যাদা দিতে হবে, একুশের চেতনায় সিলেবাস তৈরি করতে হবে এবং মুক্তিযুদ্ধের আদর্শগুলোকে অনুশীলন করতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম একুশের পথ বেয়ে যা আমাদের জন্য সারা জীবনের গৌরব ও অহঙ্কার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে সেটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার। লেখক : অধ্যাপক ও ডিন, সিটি ইউনিভার্সিটি
×