ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ মিনারে সমাবেশে বক্তারা

দেশের স্বার্থ রক্ষা না করে লুটেরাদের স্বার্থে পাট-চিনি কল ধ্বংস করা হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৭:২৫, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

দেশের স্বার্থ রক্ষা না করে লুটেরাদের স্বার্থে পাট-চিনি কল ধ্বংস করা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আধুনিকায়ন করে পাটকল চালু, রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ নয় আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ, বদলি শ্রমিকসহ সকলের বকেয়া পাওনা পরিশোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন পাটকলের শ্রমিকরা। শনিবার পাট-সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক-কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ এবং বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বানে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক হাজার শ্রমিক-কৃষক সমবেত হন। বাংলাদেশ আখচাষি ও চিনিকল রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল সভাপতিত্বে ও শ্রমিকনেতা কামরূল আহসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফজলে হোসেন বাদশা এমপি, প্রবীণ শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরী, খেতমজুর নেতা মোস্তফা লুৎফুলা এমপি, কৃষক নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, শ্রমিকনেতা মোঃ মছিউদদৌলা, আসলাম খান, খুলনা-যশোর শিল্পাঞ্চল নেতা হারুন রশিদ মল্লিক, চট্টগ্রামের পাটকল শ্রমিক নেতা দিদারুল আলম, নাটোর সুপার মিল মিজানুর রহমান, সেতাবগঞ্জ চিনিকল নেতা শহীদুল ইসলাম হীরা, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের শ্রমিকনেতা মোবারক হোসেন, শ্যামপুর চিনিকল রক্ষা কমিটি আহবায়ক আলতাফ হোসেন। ঘোষণা পাঠ করেন চিনিকল ও আখচাষী রক্ষা কমিটির নেতা সুকুমার সরকার। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ , দেশের রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল বন্ধ ও চিনিকল বন্ধের অপতৎপরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের স্বার্থ রক্ষা না করে লুটেরাদের স্বার্থে পাট-চিনি কল ধ্বংস করা হচ্ছে। সমাবেশ থেকে পাট ও চিনি শিল্প রক্ষায় দাবি আদায়ে আগামী ১৬ মার্চ দেশের সকল পাটকল, চিনিকল ও আখচাষ এলাকায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান এবং ঐদিন ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংহতি সমাবেশের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়। সমাবেশে সংহতি জানিয়েছে সংগীত পরিবেশন করেন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা। এছাড়া ছাত্র-যুব, নারী, খেতমজুর, কৃষিফার্ম শ্রমিক, গার্মেন্টস, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক, হকারসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সংগঠন মিছিল নিয়ে সমাবেশের সাথে সংহতি জ্ঞাপন করেন। সমাবেশ শেষে লাল পতাকার এক বিশাল মিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাই কোর্ট, তোপখানা রোড হয়ে পুরানা পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়। সমাবেশে ফজলে হোসেন বাদশা এমপি বলেন, পাটকল-চিনিকল লোকশানের জন্য শ্রমিকরা দায়ী নয়। কর্পোরেশনের দুর্নীতিপরায়ন কর্মকর্তারাই দায়ী। পাট ও চিনি শিল্প আধুনিকীকরণ করে চালু করার জন্য আমরা জোর দাবী জানাচ্ছি। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই, মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে শিল্পের প্রতিষ্ঠানের জাতীয়করণ করা হয়েছিল। সেই সকল প্রতিষ্ঠানের বিরাষ্ট্রীয়করণ আমরা কোন ভাবেই মেনে নেব না। মোস্তফা লুৎফুল্লা এমপি বলেন, রাষ্ট্রায়াত্ত পাটকল-চিনিকল বন্ধের মত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সংসদে আলোচনা ছাড়া সিন্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। সংসদীয় কমিটির মতামতও উপেক্ষা করা হচ্ছে। তিনি এই সব বিষয় সংসদে আলোচনা আহবান জানান।
×