ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চট্টগ্রামে ৭২৫ কিমি খাল কাটা হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২২:৫৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

কৃষি উৎপাদন বাড়াতে চট্টগ্রামে ৭২৫ কিমি খাল কাটা হবে ॥ কৃষিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ কৃষির আধুনিকীকরণ ও কৃষিকে বহুমাত্রিক করতে ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে সরকার। উৎপাদন বাড়াতে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৭২৫ কিলোমিটার খাল কাটার কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়েছে। গৃহীত প্রকল্পগুলোর সুফল যেন প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা পায় সেজন্য কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। শুক্রবার চট্টগ্রামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ হলে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথাগুলো বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীন চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান জেলার বিভিন্ন দফতরের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা নিজ নিজ জেলার কৃষির বর্তমান অবস্থা, সমস্যা, সম্ভাবনা ও করণীয় তুলে ধরেন। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার কৃষির উন্নয়নে যে প্রকল্পগুলো গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে তার সুফল কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সে কারণে মাঠ পর্যায়ে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, দানাদার খাদ্যে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি উৎপাদন কিছুটা ব্যাহত হয়, যা নিরসনের চেষ্টা চলছে। কৃষি শুধু মানুষের খাদ্যের যোগান দেয় না, শিল্পের কাঁচামালের অন্যতম উৎস। সে বিবেচনায় কৃষিকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বক্তব্যে তিনি অঞ্চলভিত্তিক কৃষি বহুমুখীকরণ ও কৃষিকাজকে লাভজনক করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে সমন্বিত চাষ বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের আরও আন্তরিক হয়ে কৃষকের কাছে যেতে হবে, তাদের কথা শুনতে হবে। মতবিনিময় সভায় কৃষি কর্মকর্তারা পাহাড়ি এলাকায় অপ্রচলিত চাষাবাদ বাড়ানো লাভজনক হবে বলে মত ব্যক্ত করেন। তারা বলেন, দেশের প্রায় এক-দশমাংশ এলাকা পাহাড়ে অবস্থিত। সেখানে সমতলের প্রচলিত পণ্যগুলো উৎপাদন করা যায় না। তবে কাজু বাদাম, কফি, ড্রাগন ফলসহ বেশকিছু ফলাদি উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কাজু বাদাম ও কফির বাণিজ্যিক উৎপাদন করতে পারলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানিও করা যাবে। ফলে দেশে কৃষি উৎপাদনের বহুমুখীকরণ যেমন হবে তেমনিভাবে কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে। অঞ্চলভিত্তিক কৃষি কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিমত এবং সমস্যার কথা শুনে কৃষিমন্ত্রী এ ব্যাপারে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তিনি শুধু অফিসে বসে না থেকে কৃষকের জমিতে যাওয়ার জন্য কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, কৃষকের আয় বাড়াতে কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণের ওপর জোর দিতে হবে। হাতেকলমে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন ফসলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বোঝাতে হবে। কৃষক উৎসাহিত হলে কৃষির উৎপাদনও বহুগুণ বেড়ে যাবে।
×