নিজস্ব সংবাদদাতা, ফেনী ॥ ফেনীর ফুলগাজীতে কিশোরী ধর্ষণের মামলায় পুলিশ সদস্য তৌহিদুল ইসলাম শাওনকে রাঙামাটি থেকে শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করে ফুলগাজী থানায় নিয়ে এসেছে পুলিশ । ধর্ষনের অভিযুক্ত তৌহিদুল ইসলাম রাঙ্গামাটি জেলার একজন পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ভিকটিম ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদাণ করেছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী নরুল আবছার চৌধুরী মুকুল জানায়,পুলিশ সদস্য শাওনের নানার বাড়ী ফুলগাজীতে পরিচয়ের সূত্র ধরে গত বছরের পহেলা জুন কৌশলে ১৫ বছরের ঐ কিশোরিকে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে যায় তৌহিদুল। সেখানে ফলের জুসের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য দিয়ে কিশোরীকে অজ্ঞান করে বেশ ক”বার ধর্ষণ করে।একপর্যায় জ্ঞান ফেরার পর কিশোরি ঘটনার প্রতিবাদ করলে ধর্ষক অশ্লীল ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযো মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। ভয় দেখিয়ে দীর্ঘ ৮ মাস যাবৎ কিশোরীকে ধর্ষণ করে এতে কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়।। ঘটনাটি জানাজানি হলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ দেয়া সহ ভিকটিমদের সমাজচ্যুত করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
চলতি মাসের ১১ ফেব্রুয়ারী ঐ কিশোরি কন্যা সন্তানের জন্মদেন।পরে ভিকটিমের স্বজনরা বিষয়টি ধর্ষক পুলিশ সদস্য শাওনেকে জানালে সে ঘটনাটি পুরোপুরি অস্বীকার করে এবং উল্টো হুমকি ধামকি দিতে থাকে। ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার শাওনকে প্রধাণ আসামী করে মোট ৪ জনের বিরুদ্ধে ফেনীর আদালতে মামলা দায়ের করে।। মামলার অন্য অঅসামীরা হচ্ছে শওেনের পিতা আমিনুল ইসলাম ও তার মা শানু স্থানীয় সমাজপতি, ফিরোজ আহম্ম বাবু। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফুলগাজী থানাকে নির্দেশ দেয়।
ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কতুব উদ্দিন জানান, আদালতের কপি হাতে পাওয়ার পরে আসামীকে ভোরে রাঙামাটি থেকে গ্রেফতার করে ফুলগাজী অনা হয়েছে।