ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ছয় চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি উদ্্যাপন করা হবে বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর ভ্যাকসিন সহযোগিতা ও তৃতীয় এলওসি নিয়ে আলোচনা হবে

গভীর হবে সম্পর্ক ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছেন মোদি

প্রকাশিত: ২২:৪৯, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

গভীর হবে সম্পর্ক ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে আসছেন মোদি

এম শাহজাহান ॥ মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সামনে রেখে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি জোরেশোরে নেয়া হচ্ছে। সুবর্ণজয়ন্তীর ওই জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করতে বাংলাদেশ সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। তার এই সফরে দেশটির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে অন্তত ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করছে বাংলাদেশ। মোদির উপস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব ধরনের বাধা দ্রুত দূর করতে ‘বিজনেস রেমিডিয়াল মেজারস’ শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের এজেন্ডা চূড়ান্ত করা হয়েছে। তার সফরের আগে আগামী ৪ মার্চ ঢাকা আসছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এছাড়া শীঘ্রই দুই দেশের স্বরাষ্ট্র, পানিসম্পদ, বাণিজ্য ও নৌপরিবহন সচিবদের বৈঠক করা হবে। সংশ্লিষ্ট এসব মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি রয়েছে। জানা গেছে, সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। ওই বৈঠকেই ভারতের সঙ্গে অন্তত ছয়টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হতে পারে। এর পাশাপাশি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতা, বাণিজ্য, যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব, বিদ্যুত, জ্বালানি ও পানি সম্পদ, আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতার পাশাপাশি সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে যাতে অনুষ্ঠান শেষ করা যায় সেলক্ষ্যে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আসন্ন সফরের পর কর্মসূচীগুলো চূড়ান্ত করা হবে। ইতোমধ্যে মোদির সফর নিশ্চিত করতে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন চারদিন ভারত সফর করে এসেছেন। তিনি জানান, মোদির সফরে মুজিবনগর থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রস্তাবিত স্বাধীনতা সড়ক, ফেনী সেতু এবং মহাত্মা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন হতে পারে। এর বাইরে সফর ঘিরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ পাঁচ-ছয়টি সমঝোতা স্মারক আলোচনার টেবিলে রয়েছে। এসব চুক্তি করা হবে। তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২৬ মার্চ সকালে বা দুপুরে এলে বিকেল থেকে আমাদের মূল অনুষ্ঠান হবে। পরদিন দ্বিপক্ষীয় বৈঠক এবং ঢাকার বাইরে জাতির পিতার সমাধিস্থল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়ার বিষয়টি প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে। করোনার টিকা উপহার দেয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় পক্ষের সঙ্গে অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা হচ্ছে। মোদির আসন্ন সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে আলোচনাও করা হতে পারে। এর পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ভারতকে পাশে পাওয়া, সীমান্ত হত্যা বন্ধ, ভ্যাকসিন সহযোগিতা নিশ্চিত করা, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং লেটার অব ক্রেডিট এলওসির আওতায় ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত করার বিষয়গুলো আলোচনায় থাকছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সম্প্রতি এক অনুষ্ঠান শেষে জানিয়েছেন, ৫০ বছরের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সঙ্গে মিল রেখেই মোদির আসন্ন এই ঢাকা সফর পরবর্তী অর্ধ শতাব্দীর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই লক্ষ্য। ভারতীয় হাইকমিশনার বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানিবণ্টন, সীমান্ত হত্যা, ভ্যাকসিন সহযোগিতা, বাণিজ্য, এবং সমুদ্রসীমাসহ সকল দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলোর সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উল্লেখ্য, গত ডিসেম্বর মাসে করোনাভাইরাস মহামারীকালে ভার্চুয়ালি সম্মেলনে মিলিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় মূল অনুষ্ঠানে জ্বালানি, সামাজিক উন্নয়ন, কৃষিসহ সাতটি বিষয়ে সহযোগিতার লক্ষ্যে দুদেশের মধ্যে সাতটি কাঠামো চুক্তি, প্রটোকল ও সমঝোতা স্মারক সই হয়। ওই সময় শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি ৫৫ বছর পর বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ীর মধ্যে রেল সংযোগ উদ্বোধন করেন। বিজনেস রেমিডিয়াল মেজারস সমঝোতা স্মারক ॥ ভারতের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে বিজনেস রেমিডিয়াল মেজারস শীর্ষক একটি সমঝোতা স্মারক সই করা হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই সমঝোতার আওতায় ব্যবসা-বাণিজ্য সংক্রান্ত জটিলতা দ্রুত দূর করা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। মূলত তিনটি বিষয় আলোচনা সহজ করতে এই সমঝোতাটি হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছে সরকার। এগুলো হচ্ছে- কাউন্টার ভেলিং, এ্যন্টি-ডাম্পিং এবং সেভগার্ড। পাটের ওপর এ্যান্টি-ডাম্পিং আরোপ করায় দেশের পাটখাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এই সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ আলোচনা চায়। ভারতীয় পক্ষ এই সমস্যা সমাধানে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এতে সহজে কোন সঙ্কটের সমাধান হচ্ছে না। এসব সঙ্কট দ্রুত দূরীকরণে সমঝোতা স্মারক করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শহিদুল ইসলাম জনকণ্ঠকে বলেন, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মোদির সফরের সময় ‘বিজনেস রেমিডিয়াল মেজারস’ সমঝোতা স্মারক সই করার প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে। আশা করছি সমঝোতা স্মারকটি সই করা হবে। কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর ॥ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান সামনে রেখে এবার ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান উদযাপনে সম্প্রতি প্রস্তুতিমূলক একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ১২ সিনিয়র সচিব অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর উদযাপনের বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের আলোচনা করা হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে সচিবদের কাছে লেখা চিঠিতে বলা হয়- বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে চলমান বিভিন্ন বিষয় দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে ওই সভায় সচিব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ১২ জন সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ ইআরডি, বাণিজ্য সচিব বাংলাদেশ ট্রেড এ্যান্ড ট্রেড ট্যারিফ কমিশন, দিল্লীতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ , নৌ সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিবগণ অংশগ্রহণ করেন। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. মোঃ জাফর উদ্দীন জনকণ্ঠকে বলেন, একক দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে ভারতের সঙ্গে বেশকিছু চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিয়েছে। যৌথ সমীক্ষার পর সিপা চুক্তির লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এলওসি চুক্তিগুলোর বিষয়ে ইআরডি কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে। তৃতীয় এলওসি বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ ॥ ভারত বরাবরই বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। কিন্তু গত বছরের মার্চ থেকে করোনা শুরু হওয়ার পর দেশটির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সংক্রান্ত অমীমাংসিত বিষয়গুলোর সমাধানের তেমন কোন অগ্রগতি নেই। অথচ অবকাঠামো খাত উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে তিনটি এলওসি চুক্তির আওতায় ৬৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ চুক্তির রয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় এলওসি চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ ২০১৭ সালে তৃতীয় এলওসি করা হলেও এই চুক্তির আওতায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কোন ঋণ সুবিধা পায়নি। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) এখন দ্রুত তৃতীয় এলওসি চুক্তির বাস্তবায়ন চায়। জানা গেছে, জানা গেছে, সর্বপ্রথম গত ২০১০ সালের এলওসি চুক্তির মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভারত বাংলাদেশের অংশীদার হয়। এখন পর্যন্ত ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের (বাংলাদেশী টাকায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা) তিনটি লাইন অব ক্রেডিট চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। এছাড়া গত বছরের এপ্রিলে প্রতিরক্ষা খাতে কেনাকাটার জন্য আরও ৫০ কোটি ডলারের শেষ ঋণচুক্তিটি স্বাক্ষর করা হয়। এর আওতায় কি কি কেনা হবে তা এখনও চূড়ান্ত করা হয়নি। সম্প্রতি এলওসি চুক্তি প্রসঙ্গে ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী এক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ ভারতের এলওসি গ্রহীতা, যা প্রায় ৩০ শতাংশ। প্রথম লাইন অব ক্রেডিটের টাকা প্রায় পুরোটা ছাড় হয়েছে, দ্বিতীয় লাইন অব ক্রেডিটের টাকাও অর্ধেকের বেশি ছাড়া হয়েছে। তবে তৃতীয় লাইন অব ক্রেডিটের টাকা এখনও ছাড়া হয়নি। তবে, এটাও দ্রুত ছাড় হবে। এবার এই চুক্তির আওতায় দ্রুত ঋণ সুবিধা চাওয়া হবে। ঋণচুক্তির আওতায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুতকেন্দ্র থেকে বিদ্যুত বিতরণ অবকাঠামো উন্নয়ন, পায়রা বন্দরের বহুমুখী টার্মিনাল নির্মাণ, বুড়িগঙ্গা নদী পুনরুদ্ধার ও তীর সংরক্ষণ, বগুড়া থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত দ্বৈতগেজ রেলপথ নির্মাণ, সৈয়দপুর বিমানবন্দর উন্নতকরণ, বেনাপোল-যশোর-ভাটিয়াপাড়া-ভাঙ্গা সড়ককে চার লেনে উন্নীত করা, চট্টগ্রামে কনটেনার টার্মিনাল নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে কনটেনার ডিপো নির্মাণ, কাটিহার-পার্বতীপুর-বরনগর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যুত বিতরণ লাইন তৈরি, মংলা বন্দর উন্নয়ন, চট্টগ্রামে ড্রাই ডক নির্মাণ, মীরসরাইয়ের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত চার লেনে সড়ক উন্নীত করা, মোল্লাহাটে ১০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ, মীরসরাই বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গঠন, কুমিল্লা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর হয়ে সরাইল পর্যন্ত চার লেন সড়ক নির্মাণ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ১ লাখ এলইডি বাল্ব সরবরাহ প্রকল্প রয়েছে।
×